নয়াদিল্লি: শুক্রবার সন্ধ্যায় কোঝিকোড়ের কারিপুর বিমানবন্দরের ১০ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের সময় পিছলে গিয়ে খাদে পড়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার আইএক্স১৩৪৪ বিমানটি। আর এই ১০ নম্বর রানওয়েটি যে নিরাপদ নয়, বিশেষত ভেজা আবহাওয়ায় বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে, এবিষয়ে বেশ কয়েক বছর আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে ম্যাঙ্গালোরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়। দুর্ঘটনায় ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এরপরেই অসামরিক বিমান মন্ত্রকের গঠিত একটি সুরক্ষা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন মোহন রাঙ্গনাথন তখনই এবিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিলেন। গতকালের দুর্ঘটনার পর এপ্রসঙ্গে কথা বলতে ক্যাপ্টেন রাঙ্গনাথন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন যে, মঙ্গালোর দুর্ঘটনার পরে তিনি যে সতর্কতা জারি করেছিলেন তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাঁর মতে কোঝিকোড় বিমানবন্দরটি ‘টেবল টপ’-এ হওয়ায় এবং রানওয়ের শেষে বাফার জোনটি অপর্যাপ্ত হ ওয়ায়ার কারণে বিমান ওঠানামা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। রানওয়েটির দৈর্ঘ্যে ছোট হওয়ায় বোয়িং ৭৭৭ এবং এয়ারবাস এ৩৩০-সহ বহু বড় বিমান এই বিমানবন্দরে ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “কেরলের চারটে বিমানবন্দরের মধ্যে কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ে তুলনামূলক অনেক ছোট। এর আগেও বৃষ্টির কারণে রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন যে অঞ্চলটির প্রাকৃতিক বিশেষত্বের ভিত্তিতে রানওয়ের শেষে ২৪০ মিটারের একটি বাফার দেওয়া উচিত ছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে ডিজিসিএর তরফে এরজন্য মাত্র ৯০ মিটার যুক্ত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আইএক্স ১৩৪৪ বিমানটি ভারী বৃষ্টিতে কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাহাড়ি রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে ৩৫ ফুট নীচে একটি উপত্যকায় পড়ে যায় এবং দুটুকরো হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় এপর্যন্ত ১৭জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পাইলট-ইন-কমান্ড ক্যাপ্টেন দীপক শেঠ এবং তার সহ-পাইলট অখিলেশ কুমার। ক্যাপ্টেন দীপক ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ)র প্রাক্তন উইং কমান্ডার ছিলেন।