নয়াদিল্লি: বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের আত্মনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। মোদীর প্রচারে উঠে আসছে 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর কথা। কেন্দ্রীয় সরকারে উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন ঘোষণা করলেন প্রতিরক্ষামমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট এক সময়সীমার পর থেকে ১০১টি প্রতিরক্ষা ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে নিজের দেশে মধ্যেই এই সব সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করা হবে।
এদিন টুইট করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার কথা ঘোষণা করেন রাজনাথ সিং। তিনি জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রক ইতিমধ্যেই ১০১টি সরঞ্জামের তালিকা তৈরি করেছে। এগুলি আমদানির ক্ষেত্রে একটি সময়ের পর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এই তালিকায় রয়েছে আর্টিলারি গান, অ্যাসল্ট রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট লঞ্চার, ক্রুজ মিসাইল, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট, ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, রেডার, হুইলড আর্মড ফায়ারিং ভেহিকেল ইত্যাদি। এ বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে আগামী ৪ বছর পর্যন্ত পর্যায়েক্রমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: 'সাবধান হও', নাম না করে কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন সুশান্তের দিদি?
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রে এবার বড় সুযোগ আসতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, তালিকাভুক্ত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামগুলি এবার দেশীয় নকশা ও দক্ষতার মাধ্যমে তৈরি হবে। এই ক্ষেত্রে ডিআরডিও'র প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।। এই ফলে ভারত তার সশস্ত্র বাহিনীর যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতে পারবে। যার ফলে দেশ আরও শক্তিশালী হবে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে দেশীয় এবং বিদেশ থেকে কেনা সরঞ্জাম বা কেনার তালিকায় থাকা সরঞ্জামের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের মধ্যে দেশের মধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ৫২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আগামী ৬-৭ বছরে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার সরঞ্জামের বরাত দেশীয় সংস্থাগুলিকে দেওয়া হবে বলে জানান রাজনাথ সিং। এই অর্থের মধ্যে স্থলসেনা ও নৌসেনার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে প্রতি ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা।
The Ministry of Defence is now ready for a big push to #AtmanirbharBharat initiative. MoD will introduce import embargo on 101 items beyond given timeline to boost indigenisation of defence production.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) August 9, 2020
This decision will offer a great opportunity to the Indian defence industry to manufacture the items in the negative list by using their own design and development capabilities or adopting the technologies designed & developed by DRDO to meet the requirements of the Armed Forces.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) August 9, 2020