অর্থনীতি, বেকারত্বের জেরে মানুষের আস্থা হারাচ্ছে মোদী সরকার, বলছে সমীক্ষা

২০১৭ সালের নোটবন্দির পর দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ আশা করেছিলেন আগের ইউপিএ সরকারের থেকে এনডিএ সরকার অনেক বেশি এগিয়ে আছে। কিন্তু, করোনা সংকট ও লকডাউনের পর মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষই মোদী সরকারকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন।

cca016ccc28cf00631c70e45872f8047

নয়াদিল্লি: অর্থনীতি ক্রমশ ভেঙে পড়ছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আক্রমণের অন্যতম ইস্যু এটা। অতিমারির পরিস্থিতিতে যে অর্থনীতির হাল আরও খারাপ সে কথাও স্পষ্ট। এবার এক সমীক্ষা বলছে এই অর্থনীতির বেহাল দশার জেরে কেন্দ্র সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষতার মাপকাঠিতে এনডিএ সরকার আগের গতিতে এগোতে পারছে না। সমীক্ষায় বেশিরভাগ মানুষই আস্থা হারিয়েছে মোদী সরকারের ওপর। ৩০ শতাংশের বক্তব্য, অর্থনীতি সামলানোর ক্ষেত্রে আগের কংগ্রেস সরকারের থেকেও মোদী সরকারের অবস্থা অসন্তোষজনক। 

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত প্রণব মুখোপাধ্যায়, আরোগ্য কামনা মমতার
 

সংবাদমাধ্যমের 'মুড অফ নেশন' সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালের নোটবন্দির পর দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ আশা করেছিলেন আগের ইউপিএ সরকারের থেকে এনডিএ সরকার অনেক বেশি এগিয়ে আছে। কিন্তু, করোনা সংকট ও লকডাউনের পর মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষই মোদী সরকারকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন। অন্যদিকে ৪৫ শতাংশ মানুষ কংগ্রেস সরকার ও বিজেপি সরকারের মধ্যে অর্থনীতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না। 

আরও পড়ুন: UGC-র বিধি বদলাতে পারে না রাজ্য, পরীক্ষা মামলায় নয়া অবস্থান কেন্দ্রের

আরেকটি সমীক্ষায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ইত্যাদি কারণেই উপভোক্তাদের আস্থা হারিয়েছে। দেশের যে অর্থনীতি মেনে অর্থব্যবস্থাকে মোদী সরকার এতদিন ধরে চালনা করেছেন, তাতে মানুষ আর ভরসা রাখতে পারছেন না। এই ভরসাকে সমীক্ষায় সূচকের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, আগস্ট মাসে সিএসআই সূচক ৫৩.৮, যা ভারতের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। গত বছর এই সূচক ৬৩.৭ শতাংশে অবস্থান করেছিল। প্রসঙ্গত, এই সূচকের কাঁটা ১০০-য় থামলে মনে করা হয় আত্মবিশ্বাস আগের মতোই আছে। ১০০-র বেশি হলে ধরা হয় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। সমীক্ষায়, ২৩ শতাংশ মানুষের মতে বেকারত্বই বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা কারণ। অন্যদিকে ১১ শতাংশ মানুষ ব্যর্থতার কারণ হিসাবে দায়ী করছেন মূল্যবৃদ্ধিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *