রাহুল সাক্ষাতে সময় চাইলেন বিদ্রোহী শচীন! মরু-রাজ্যে গলছে বরফ?

রাহুল সাক্ষাতে সময় চাইলেন বিদ্রোহী শচীন! মরু-রাজ্যে গলছে বরফ?

 

নয়াদিল্লি:  অবশেষে গলছে বরফ৷ মোড় বদলাচ্ছে মরু রাজ্যের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চের৷ সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট দেখা করতে চলেছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি দুই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল ও কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে কথা বলেছেন পাইলট৷  

আরও পড়ুন-  গুলির শব্দ শুনে বেড়ে ওঠা ভূস্বর্গের পড়ুয়াদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ এখন করোনা

রবিবার রাতে জয়সলমেরের একটি হোটেলে বসেছিল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে৷ ওই বৈঠকে বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের দলে ফেরানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অশোক গেহলটের অনুগামীরা৷ বিদ্রোহী নেতাদের দলে ফেরানো নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জোড় গুঞ্জন, সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট৷ 

এদিকে ১৪ অগাস্ট থেকে শুরু হবে রাজস্থানের বিধানসভা অধিবেশন৷ এর আগে সকল বিধায়কের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট৷ চিঠি লিখে প্রত্যেককে সত্যের পক্ষে মত দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ মাস খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেই ১৮ জন অনুগামীকে নিয়ে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন শচীন পাইলট। এর পর শুরু হয় তাঁর বিজেপি’তে যোগদানের গুঞ্জন৷ যদিও পাইলট সাফ জানিয়ে দেন তিনি বিজেপি’তে যাচ্ছেন না৷ এরপর তাঁকে দলে ফেরানোর বহু চেষ্টা সত্বেও জট কাটেনি৷ পাইলট বনাম গেহলটের সংঘর্ষে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মরু রাজ্যের রাজনীতি৷  পাইলটের অভিযোগ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন। গেহলটকে না সরানো পর্যন্ত তাঁর পক্ষে দলে ফেরা সম্ভব নয়। 

আরও পড়ুন- ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আজ আত্মনির্ভর ব্রাত্য এই বৃহন্নলকারা

সোনিয়া-তনয় পাইলটের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে অনেকেই মনে করছেন, পাইলটের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর এক সময় যে হৃদ্যতা ছিল, সেই সম্পর্কের রেশ ধরেই এই সাক্ষাৎকারে সম্মতি জানাতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি৷ 

আরও পড়ুন- UGC-র বিধি বদলাতে পারে না রাজ্য, পরীক্ষা মামলায় নয়া অবস্থান কেন্দ্রের

আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে সম্ভবত আস্থাভোট চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০ সদস্যের রাজস্থান বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১০১টি আসন। কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা এই ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে সামান্য বেশি। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ৭২। তবে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের অন্দরে রয়েছে ১৯ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 8 =