নয়াদিল্লি: করোনা রুখতে দীর্ঘ লকডাউন ঘোষণার পর ধাপে ধাপে চালু হয়েছে আনলক পর্ব৷ ৪ মাস কেটে গেলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা সংক্রমণ৷ উল্টে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ দিনে ৬০ হাজারের বেশি সংক্রমণ ঘটেছে দেশে৷ আর এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে লোকাল, মেট্রো, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের নয়া বিবৃতি জারি করল রেল মন্ত্রক৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উড়িয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন রেল৷
আজ দুপুরে গোটা দেশের প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, বর্তমান পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে এখনই লোকাল ট্রেন কিংবা মেট্রো, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করবে না৷ কবে চলাচল করবে তার পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে৷ তবে শ্রমিক ট্রেন যেমন চলছে, তেমন চলবে৷ একই সঙ্গে রেল কর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের জন্য নির্দিষ্ট রেল পরিষেবা চলবে৷ গত ১২ আগস্ট পর্যন্ত যে রেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা বাড়িয়ে আগামী ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে, আগামী সেপ্টেম্বরেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে না৷ সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর টুইট করে রেল মন্ত্রক৷
টুইট করে রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বেশকিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে না৷ এটি সঠিক নয়৷ রেল মন্ত্রক এখন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি৷ বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি চলতে থাকবে৷’ তবে, আদৌ কবে লোকাল, মেট্রো, দূরপাল্লার ট্রেন কবে চলাচল করবে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি রেল মন্ত্রক৷ সাধারণ যাত্রীদের প্রশ্ন, সংবাদমাধ্যমের খবরের ভূল যখন মন্ত্রক ধরে দিচ্ছে, তখন কেন জানানো হচ্ছে না, কবে ট্রেন পরিষেবা স্বাভিক হবে৷ তাহলেই তো বিভ্রান্তি আর থাকে না৷
লোকাল ট্রেন পরিষেবা এখনও চালু না হওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে বিপত্তি৷ কেননা আনলক পর্বে ইতিমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে গিয়েছে৷ বাধ্য হয়ে জীবিকা বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতা৷ ভিড় বাস কিংবা মোটা টাকায় গাড়ি ভাড়া করে তাঁদের অফিসে বা কর্মক্ষেত্রে ছুটতে হচ্ছে৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ৷ -ফাইল ছবি৷