তখনও শরীর ছিল হলুদ! অ্যম্বুলেন্সেও কি জীবিত ছিলেন সুশান্ত? বিস্ফোরক চালক

তখনও শরীর ছিল হলুদ! অ্যম্বুলেন্সেও কি জীবিত ছিলেন সুশান্ত? বিস্ফোরক চালক

 

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়৷ বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স চালকের বয়ানে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য৷ তিনি জানালেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুশান্তের সারা শরীর হলুদ হয়ে গিয়েছিল৷ সাধারণত আত্মহত্যা করলে এমনটা হয় না৷ 

তিনি আরও জানান, অভিনেতার গলার সামনের দিকেই কেবল দাগ দেখা গিয়েছিল৷ গলার চারিদিকে নয়৷ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক৷ তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুশান্তের পা মোড়া ছিল৷ যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন, তাঁর পা মোড়া থাকবে কেন?’’ এছাড়াও সুশান্তের পায়ের নানা জায়গায় ক্ষত ছিল বলেও জানান তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘আত্মহত্যা করলে পায়ে এই দাগ এল কোথা থেকে? আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, তাঁর দুটে পা’ই ভাঁজ করা ছিল৷ ঠিক লাথি মারার সময় যে ভাবে আমরা পা ভাঁজ করে থাকি, অনেকটা সেরকম৷’’ অ্যাম্বুলেন্স চালকের এই তথ্য সুশান্ত মৃত্যু মামলায় নয়া দিক খুলে দিতে চলেছে বলেই অনুমান৷ 

আরও পড়ুন- ছারখার ব্যক্তি জীবন, আমাকে মুক্তি দিন! সুপ্রিম কোর্টের আর্জি রিয়ার

অ্যাম্বুলেন্স চালকের কথায়, আত্মহত্যা করা বহু মানুষের মৃতদেহ তিনি দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই তাঁর মনে হয়েছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। কিন্তু কেউ যখন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তখন কি পা ছোড়েন? তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ছুড়তেই পারে, কিন্তু তাঁর পা মোড়া থাকবে কি করে? আর সাধারণত এই ক্ষেত্রে মুখে থেকে ফেনা বেরিয়ে আসার কথা৷ কিন্তু সুশান্তের মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে আসেনি৷’’ অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এই চাঞ্চল্যকর দাবি সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এ বার অন্য মাত্রা যোগ করল। সেই সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন উঠে এল, তবে কি অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময়ও বেঁচে ছিলেন সুশান্ত? 

আরও পড়ুন- গার্হস্থ্য হিংসায় লাগাম টেনে  মেয়েদের শিক্ষার বিকাশে তৈরি ভিজিল্যান্স গ্রুপ

গত ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত৷ তাঁর মৃত্যুর তদন্তের ভার এখন সিবিআই-এর হাতে৷ তাঁর মৃত্যুর জন্য সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ছেলের মৃত্যুর জন্য রিয়াকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং৷ রিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৩৪১,৩৪২, ৩৮০, ৪০৬ এবং ৪২০ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে বিহার পুলিশ৷      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 7 =