নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার পর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমস্ত বিভাগকে আরও মজবুত করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক বড়সড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার দীর্ঘ বিলম্বিত প্রকল্প হিসেবে ইজরায়েলি ড্রোনকে মারাত্মক অস্ত্রে সাজিয়ে তুলতে এবং দেশীয়ভাবে রাশিয়ান কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির কাজে গতি বাড়াতে বড়মাপের অনুমোদন দিল কেন্দ্র।
একইসঙ্গে প্রারম্ভিক প্রশিক্ষণ বিমান, নৌ বন্দুক এবং বিশেষায়িত ট্যাঙ্ক-প্রতিরোধক সামরিক সম্ভারের জন্য ৮,৭২২ কোটি টাকার বরাদ্দ নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সামরিক দ্বন্দ্বের আবহে ইসরায়েলি হেরন ড্রোনকে সাজিয়ে তোলার প্রায় এক দশক পুরানো প্রস্তাবটির দ্রুত অগ্রগতির লক্ষ্যে রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পর্ষদের এই (ডিএসি) সিদ্ধান্ত যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, 'প্রোজেক্ট চিতা' নামের এই প্রকল্পে মানবহীন আকাশ যান হেরন ড্রোনকে সাজিয়ে তুলতে লেজার-গাইডেড বোমা, এয়ার-টু-গ্রাউন্ড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং অন্যান্য নির্ভুল-লক্ষ্যভেদী যুদ্ধাস্ত্রের পাশাপাশি শত্রুকবলিত এলাকার কাছাকাছি জায়গাগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর খাতে ৩,৫০০ কোটিরও বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।”
ড্রোনগুলির উন্নতিকরণে বাণিজ্যিক চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার কাজ অনেক আগে শেষ হয়েছিল। এখন, এটি অনুমোদনের জন্য সুরক্ষা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণ করা হবে, বলেও সূত্রের খবর।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অন্তত ৯০ টি মাঝারি উচ্চতার, দীর্ঘ সহনশীল হেরন ইউএভি রয়েছে, যা বর্তমানে বিস্তৃত নজরদারি এবং নির্ভুল-লক্ষ্যে ক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ড্রোনগুলি ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্টের মতো কাজ শেষ হয়ে গেলে ফিরে আসে, ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কয়েকটি ইস্রায়েলি হরপ “কিলার” বা কামকাজ ড্রোন রয়েছে যা ক্রুজ মিসাইলের মত লক্ষ্য এবং রাডারগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
ভারত একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও উন্নত প্রিডেটর-বি বা অস্ত্রধারী সি গার্ডিয়ান ড্রোন আনার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছে, প্রস্তাবিত ৩০ টির মধ্যে ছটি ড্রোন এখন খুব তাড়াতাড়ি সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। কিছু চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ উদ্যোগে উত্তর প্রদেশের আমেঠি জেলার কোরওয়া অর্ডিন্যান্স কারখানায় ৬.৭১ লক্ষ একে-২০৩ রাইফেল, একে-৪৭ রাইফেল তৈরির জন্য স্থগিত পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের পথে।