নয়াদিল্লি: প্রতিদিন বিদ্যুৎ গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার একমাত্র অস্ত্র হল ভ্যাকসিন৷ করোনা প্রতিষেধকের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসী৷ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য ক্রমাগত লড়াই করে চলেছেন গবেষকরাও৷ তবে এরই মধ্যে মিলেছে সুখবর৷ বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে রাশিয়া৷ এই মুহূর্তে করোনা ভ্যাকসিনই যে আপামর বিশ্ববাসীর সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় তার প্রমাণ মিলেছে গুগল ট্রেন্ড রিপোর্টেও৷ জুলাই মাসে গুগল সার্চে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রেন্ডিং প্রশ্ন ছিল ‘বাড়িতে বসে কী ভাবে তৈরি করা যায় করোনা ভ্যাকসিন’৷
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় ভ্যাকসিনের ঘোষণা করবেন মোদী? তুঙ্গে তৎপর
ভারতে বিভিন্ন ট্রেন্ডের উপর সার্চ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণের পর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গুগল ট্রেন্ড রিপোর্ট৷ স্ট্যাটাস বলছে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সার্চ বেড়েছে ১০ শতাংশ৷ কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত গুগল সার্চ বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ৷ জুলাই মাসে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ইতিবাচক ইঙ্গিত মেলার পরই আশার আলো দেখতে শুরু করে বিশ্ববাসী৷ সম্ভবত এই কারণেই ভ্যাকসিন সম্পর্কিত গুগল সার্চ হু হু করে বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে দুর্বার গতিতে বেড়েছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরির খোঁজ৷
আরও পড়ুন- করোনা টিকা নেওয়ার পর কেমন আছেন পুতিন কন্যা? জানালেন খোদ প্রেসিডেন্ট
মজার বিষয় হল, সার্চ রিপোর্ট বলছে অধিকাংশ মানুষই করোনায় কার্যকরী নিজস্ব ভ্যাকসিন ডিআইওয়াই তৈরির আশায় গুগল সার্চ করেছেন৷ আমেরিকার বিজ্ঞানীরাও ডিআইওয়াই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কিট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাতে প্রায় ২০ জন বিজ্ঞানী মিলে ডিআইওয়াই ভ্যাকসিন প্রোপর্শনের চেষ্টা করছেন৷ এই বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেকেই আবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত৷ তবে ডিআইওয়াই ভ্যাকসিন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে৷ কারণ এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা প্রমাণ হয়নি৷
আরও পড়ুন- করোনা ঠেকাতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ মাস্ক? জানালেন বিশেষজ্ঞরা
তবে গোটা বিশ্বকে চমক দিয়ে গতকালই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের খবর দিয়েছে রাশিয়া৷ টেলি-কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে রাশিয়া। সরকারি ভাবে তার প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে পুতিনের মেয়ের শরীরে। তিনি জানান, ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের পরে মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল। পরে তা ঠিক হয়ে যায়। এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি৷