ধুলোমাখা পথে বসেই সারমেয়র শুশ্রূষা, নেটিজেনরা বলল ‘কিংস অফ ইন্ডিয়া’

ধুলোমাখা পথে বসেই সারমেয়র শুশ্রূষা, নেটিজেনরা বলল ‘কিংস অফ ইন্ডিয়া’

 

নয়াদিল্লি:  ওদের ঠিকানা ফুটপাত৷ ওরা পথশিশু৷ কিন্তু ওদের মনেও রয়েছে অফুরন্ত স্নেহ, মায়া, মমতা আর উজার করা ভালোবাসা৷ পথের ধুলো মেখে বড় হয়ে ওঠা ওই শিশুগুলোই হয়ে উঠল মানবিকতার প্রতিচ্ছবি৷   

কথায় বলে, ভালোবাসা-স্নেহে পরিপূর্ণ থাকে শিশুদের নিষ্পাপ মন৷ তাদের মনে থাকে না কোনও হিংসা, বিদ্বেষ, ছলনা৷ আর যে সকল শিশুরা পশুপাখিদের সঙ্গে নিয়ে বেড়ে ওঠে, তারা অনেক বেশি দয়ালু হয়৷ অবলা পশুগুলোর কষ্ট অনুভব করে উজার করে দেয় নিজেদের ভালোবাসা৷ পশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তাদের শিশু মন৷ এমনই এক সহানুভূতিশীলতার ছবি ফুটে উঠল ধুলোমাখা রাস্তায়৷ চোট পাওয়া কুকুরছানাকে কোলে শুইয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করল দুই পথশিশু৷ 

আরও পড়ুন- ঘরোয়া উপায়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করব কীভাবে? গুগল সার্চে ট্রেন্ডিং টিকার সন্ধান

 

সারমেয়টিও নিশ্চিন্তে নিজেকে সঁপে দিল ছোট্ট ছেলেটির হাতে৷ ড্রেসিং করার পর একের পর এক ব্যান্ড-এড দিয়ে ছেলেটি ঢেকে দিল তার ক্ষত৷ তার পাশে বসে সেই শুশ্রূষার ছবি দেখল আরও একটি খুদে৷ তাদের তিনজনের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ এই ঘটনাটি কোথাকার তা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে যিনি প্রথম এই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, তিনি ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান কিংস’ বা ‘ভারতের রাজারা’৷ ছবিটি দেখার পর উপচে পড়েছে কমেন্ট বক্স৷ অনেকেই বলেছেন, এটাই ভারতের সত্যিকারের চেতনা৷ তাদের এই মানবিক মুখকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা৷ 

আরও পড়ুন- প্রয়াত স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গৃহপ্রবেশ বৃদ্ধ স্বামীর, পূর্ণতা পেল জীবনসঙ্গিনীর শেষ স্বপ্ন

 

টুইটারে সোনালি কুলকার্নি নামে এক ইউজার লিখেছেন, ‘‘তাদের অঙ্গভঙ্গি ছিল দুর্দান্ত৷ এই ছবিতে ধরা পড়েছে তাদের বড় মনের দিকটি৷ এই ছবিটি যদি কোনও ভারতীয়র মনে দাগ না কাটে, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের মধ্যেই কিছু খামতি আছে৷ ওদের নগ্ন পা দুটো দেখুন৷ বিশ্বের পঞ্চম জিডিপি’র দেশ হয়েও বাচ্চাদের প্রাথমিক চাহিদাটুকুও মেটাতে পারিনি আমরা৷ ’’ 

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় ভ্যাকসিনের ঘোষণা করবেন মোদী? তুঙ্গে তৎপর

 

আবার ডিপি মিশ্রর কথায়, ‘‘এটা ভারত৷ এই শিশুগুলো তাদের কুকুরছানাকে নিয়েই খুশি৷ এটা খুশির এক মূল্যবান মুহূর্ত৷ আমরা যত সভ্য হচ্ছি, তত বেশি করে এই আনন্দকে হারিয়ে ফেলছি৷ কারণ আমরা নিরাপদে থাকতে চাই৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + four =