আদৌ কমবে টিভি দেখার খরচ? ফের পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি

 সম্প্রচারকরা দু'টি শর্ত দিয়েছে। একটি হল কার্যকরভাবে প্যাকেজের দামের উপরে একটি সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হোক যার ফলে তারা মনে করেন যে প্যাকেজগুলিতে চ্যানেলের সংখ্যা সীমাবদ্ধ হবে এবং দ্বিতীয়টি, গ্রাকদের যে দামে চ্যানেলগুলিদেওয়া হচ্ছে তার দাম কমানো

নয়াদিল্লি:   টেলিভিশনের গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ভারতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ট্রাই) সংশোধিত নতুন শুল্ক আদেশের বিরোধিতায় সরব দেশের সমস্ত ব্রডকাস্টার বা সম্প্রচারকরা। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুম্বাই হাইকোর্টে দায়ের করা সম্প্রচারকদের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি আগামী ২৪ আগস্ট। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত সম্প্রচারকদের বিরুদ্ধে কোনও জোরদার ব্যবস্থা গ্রহন পারবে না ট্রাই।

টেলিভিশন সম্প্রচারকরা করেছিল যে ২০১৭ সালে শুল্ক আদেশের নিয়মগুলি মেনে চলেনি বলে গত মাসেই সতর্ক করেছিল ট্রাই। গত জানুয়ারিতে এই নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে। এটি পরবর্তীকর্তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে উচ্চ আদালত সেই চিঠির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে সেখানে ট্রাইকে এই নিয়মাবলী কার্যকর করতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। যদিও ব্রডকাস্টাররা এই প্রসঙ্গেই বিরোধিতায় সরব। এবং এর ফলে সমস্ত সম্প্রচারককে ১০ আগস্টের মধ্যে নতুন শুল্ক আদেশ বা এনটিও ২.০ মেনে চলার জন্য বলা হয়।

ভারতের টেলিভিশন সম্প্রচারকদের যৌথ প্রতিনিধি সংস্থা ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং ফাউন্ডেশন (আইবিএফ) ট্রাই-এর সংশোধিত এই নতুন শুল্ক আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেছিল। তবে এবিষয়ে দেশের সমস্ত  উচ্চ আদালতকে সতর্ক করে দায়ের করা আবেদনে ট্রাই জানিয়েছে, তারা শুল্ক আদেশে ঠিক কি বলতে চাইছে তা শোনার আগেই যেন কোনো স্থগিতাদেশ জারি না করে কোনো হাইকোর্ট।

আগের নিয়ম অনুযায়ী ব্রডকাস্টারদের নিজেদের নির্ধারিত কয়েকটি চ্যানেলের প্যাকেজ অনুযায়ী দাম দিতে হতো গ্রাহকদের এবং সেখানে তাদের পছন্দের বাইরে বহু চ্যানেল বাধ্য হয়েই রাখতে হত এবং তার দামও দিতে হতো। যা আলাদা করে এক একটি চ্যানেলের দামের তুলনায় অনেক বেশি।  ট্রাই-এর নতুন শুল্ক আদেশ অনুসারে, গ্রাহকরা নিজেদের পছন্দ মতো টিভি চ্যানেল বেছে নিতে পারবেন  এবং শুধুমাত্র সেই চ্যানেলগুলির জন্যই ব্রডকাস্টাদের নির্ধারিত সর্বাধিক রিটেল প্রাইস দিতে হবে। তবে ট্রাইয়ের নতুন শুল্ক আদেশ অনুসারে গ্রাহকরা চ্যানেলগুলি আরও কম দামে এবং নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী আরও বেশি  চ্যানেল দেখতে পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছিল। তবে বাস্তবে, পছন্দ-মতো চ্যানেলের বিকল্পগুলির দাম বাড়ার ফলে এর বিপরীতটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

টেলিভিশন গ্রাহকদের জন্য বিনোদনের ব্যয় হ্রাস করতে, ট্রাই ১ জানুয়ারি একটি নতুন শুল্ক আদেশের সংশোধনী ঘোষণা করে। যেখানে প্রতিটি আলাদা চ্যানেল তা যকোনো প্যাকেজেই থাকুক না কেন, তার সর্বোচ্চ এমআরপিতে কাটছাঁট করে সেই প্রতিটি চ্যানেলের দাম ১২ থেকে ১৯ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। তবে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং ফাউন্ডেশনের মতে এই নিয়ম অযৌক্তিক বা গ্রাহকদের কথা ভেবে করা হয়নি। নিয়ন্ত্রক চ্যানেলগুলির প্যাকেজ তৈরি করার জন্য সম্প্রচারকরা দু'টি শর্ত দিয়েছে। একটি হল কার্যকরভাবে প্যাকেজের দামের উপরে একটি সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হোক যার ফলে তারা মনে করেন যে প্যাকেজগুলিতে চ্যানেলের সংখ্যা সীমাবদ্ধ হবে এবং দ্বিতীয়টি, গ্রাকদের মে দামে চ্যানেলগুলিদেওয়া হচ্ছে তার দাম কমানো হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 16 =