‘মাস্ক জ্বালাও আজাদি পাও’, দুই চিকিৎসকের স্লোগানে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

‘মাস্ক জ্বালাও আজাদি পাও’, দুই চিকিৎসকের স্লোগানে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

 

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক এখন মাস্ট৷ কিন্তু মাস্ক পরা কতটা নিরাপদ? সেই উত্তর দিলেন ডা. বিশ্বরূপ রায় চৌধুরী এবং ডা. তরুন কোঠারি৷ বিশিষ্ট চিকিৎসক রায় চৌধুরির স্লোগান, ‘মাস্ক জ্বালাও, রোগ সে আজাদি পাও’৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই মাস্কই অসুস্থতার অন্যতম কারণ৷ মাস্ক আমাদের প্রতিনিয়ত অসুস্থ করে দিচ্ছে৷ করোনা থেকে বাঁচতে আমরা এগিয়ে চলেছি মারণ ক্যান্সের, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ এবং অ্যাস্থমার দিকে৷’’  

আরও পড়ুন- বিদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন বিধি শিথিল করল সরকার

 

চিকিৎসক রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা যখন মাস্ক পরি, তখন নিজেদের ত্যাগ করা কার্বনডাই অক্সাইডকে পুনরায় গ্রহণ করে নিই৷ যা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ যাঁদের দিনে প্রায় ৮ ঘণ্টা মাস্ক পড়তে হচ্ছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে তাঁদের অ্যাস্থমা বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দেবে৷ এছাড়াও মাস্ক পরে কথা বলার সময় মাস্কের ভিতর যে উষ্ণতা তৈরি হয় তা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার জন্য একেবারে উপযুক্ত৷ মাস্ক আমাদের বাঁচানোর জন্য নয়, বরং তা আমাদের আরও বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে৷’’ রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘বলা হচ্ছে মাস্ক ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম৷ কিন্তু আমাদের আশেপাশে অসংখ্য পশুপাখি রয়েছে৷ কিন্তু তারা কেউ করোনা আক্রান্ত নয়৷’’ 

আরও পড়ুন- হাওড়া-দিল্লি রুটে বেসরকারি ট্রেনের পরীক্ষামূলক দৌড়ের ছাড়পত্র রেলের

অন্যদিকে ডা. কোঠারির মখেও শোনা গেল একই স্লোগান৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের কোনও দেশেই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়নি৷ করা হবেও না৷ মাস্ক আমাদের অসুখ থেকে বাঁচাতে সক্ষম নয়৷ মাস্ক পরার পিছনে একটি রহস্য রয়েছে৷ আদতে মাস্ক পরিয়ে আমাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে বেঁধে ফেলা হচ্ছে৷ একে বলা হয় নিউ নর্মালস৷ নিউ নর্মালসের নামে আমাদের মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে, সোশ্যাল ডিস্টেনসিং এবং স্যানিটাইজ করতে বলা হচ্ছে৷ আসলে এটি আমাদের দাসত্বের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র৷ আগামী দিনে মানুষের শরীরে চিপ লাগিয়ে তাঁদের দাস বানানো হবে৷’’ তাই আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রত্যেক ব্যক্তিকে মাস্ক জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানোর আর্জিও জানান তিনি৷ মাস্ক জ্বালানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার আর্জিও জানান ডা. কোঠারি৷ গোটা মতামতের দায় ওই  চিকিৎসকে৷ যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, করোনা রুখতে মাস্কের কোনও বিকল্প নেই৷ কিন্তু, এই ২ চিকিৎসকের মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ চলছে প্রচার৷
 

আরও পড়ুন- এই প্রথম বেসরকারি সংস্থার হাতে খুলল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত

ড. রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও আমরা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নই৷ কোনও কিছুই আমাদের হাতে নেই৷ বাচ্চার সম্পূর্ণ গৃহবন্দি৷ অথচ এটা প্রমাণিত যে ১৭ বছর পর্যন্ত করোনা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো কিছু দেশ বাদ দিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই স্কুল খুলে গিয়েছে৷ আসলে এর মধ্যে দিয়ে আমাদের আরও বেশি করে দাসত্বের শৃঙ্খলে বেঁধে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে৷ তাঁদের বক্তব্যের প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি৷ 


তাঁদের কথায়, মাস্ক পরে মানুষ ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়ার বাহক হয়ে উঠছে৷ নিজেদের শরীর থেকে বেরনো ভাইরাস-ব্যকটেরিয়া মাস্কে করে বয়ে বেরাচ্ছে সবাই৷ যা হাজার বার ধুলেও যাবে না৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + eighteen =