নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লাল কেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশের শিক্ষানীতির কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, ৩৪ বছর পর দেশের শিক্ষানীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ দেশে নয়া শিক্ষানীতির কতটা প্রয়োজন ছিল, লাল কেল্লায় দাঁড়িয়ে সেকথাও বোঝালেন নমো৷
তিনি বলেন, ‘‘নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি আমাদের শিক্ষার্থীদের যেমন শিকড়ের সঙ্গে জুড়বে, তেমনই বিশ্বনাগরিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবে৷ শিকড়ের সঙ্গে জুড়েই তাঁরা মাথা উঁচু করে থাকবে৷ বিশ্ব শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই নয়া শিক্ষানীতি তৈরি হয়েছে।’’ তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য সৃজনশীলতার প্রয়োজন রয়েছে৷ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে৷ নয়া শিক্ষানীতিতে সেই পথ প্রশস্থ করা হয়েছে৷
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে শিক্ষামহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল দেশের গ্রামাঞ্চলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে কতটা পরিকাঠামো রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই উত্তর দিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গ্রামেও অনলাইন পরিষেবা আবশ্যক হয়ে উঠেছে৷ ৬ লক্ষের বেশি গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এক হাজার দিনের মধ্যে এই অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের কাজ সম্পন্ন করা হবে৷ অনলাইন শিক্ষায় আর কোনও বাধা থাকবে না।”
তাঁর কথায়, পরিকল্পনা ছাড়া শিক্ষানীতির সংস্কার করা হয়নি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যায়, সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্বও নিয়েছে কেন্দ্র। আধুনিক শিক্ষার আলো থেকে কোনও শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে না৷ নমো বুঝিয়ে দেন, বিশ্বের দরবারে ভারতের গুরুত্ব বোঝাতে এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’এর অংশ হিসেবেই এই নীতি স্থির করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর বদলে ফেলা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে৷ দীর্ঘ দিন ধরেই এই পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করেছে দেশের মানুষ৷ সে কথাই এদিন আরও একবার তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে আত্মনির্ভর ভারতের শপথ নমোর
আরও পড়ুন- এক দেশ, এক স্বাস্থ্য! স্বাধীনতা দিবসে ‘জাতীয় হেলথ ডিজিটাল মিশনে’র ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর