নয়াদিল্লি: হাজার দিনের মধ্যে ভারতের সব গ্রাম ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে যাবে। লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক সৌধ থেকে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ছিল একেবারেই অনাড়ম্বর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন দাবি করেন ২০১৪ সালের আগে দেশের মাত্র ৬০টি পঞ্চায়েত এভাবে সংযুক্ত ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত দেড় লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত এই ব্যবস্থার সুবিধা পায়।
তিনি বলেন ২০১৪ সালের আগে মাত্র পাঁচ ডজন পঞ্চায়েতে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ছিল। গত পাঁচ বছরে দেড় লক্ষ পঞ্চায়েতের মানুষ এভাবে সংযুক্ত হয়েছেন এবং আগামী হাজার দিনে সারা দেশের সব গ্রামের মানুষ এই সুবিধা পাবেন। ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কে ভবিষ্যতের ব্রডব্যান্ড পরিষেবার বাহক বলে ধরা হয়, যার মাধ্যমে ১০ জিবি প্রতি সেকেন্ডে ডেটা ট্রান্সফার সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার প্রায়ই দেশের গ্রামে গ্রামে অনলাইন পরিষেবার কথা বলে।
স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান কিংবা শিক্ষাক্ষেত্রে এর প্রয়োজন অপরিসীম বলেও সরকার মনে করে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও তিনি বারবার বলেন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্নপূরণে গ্রামীন ভারতের যোগদান একান্ত প্রয়োজন। তিনি জানান, খুব দ্রুত ফাইবার অপটিক সংযোগের কাজ চলছে যাতে হাজার দিনেই সব কাজ সেরে ফেলা যায়। দিন কয়েক আগেই চেন্নাই থেকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার অবধি সংযোগকারী ২,৩১২ কিলোমিটার সাবমেরিন অপটিক ফাইবারের উদ্বোধন করেন। ১,২২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী এই প্রকল্প পর্যটনের উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করবে বলে দাবি করেন মোদি।
এর পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই নীতির দৌলতে ভারতের পড়ুয়ারা বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠবে এবং পাশাপাশি নিজেদের শিকড়ের সন্ধানও তাদের থাকবে। তিনি বলেন এর ফলে একবিংশ শতাব্দীর ভারত এক নতুন আকার নেবে। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা বা স্থানীয় ভাষাই শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে রাখার কারণ হল এর ফলে দেশ গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে নতুন গন্তব্য হিসেবে স্থাপিত হবে। শিক্ষানীতির এই অংশটি প্রচুর সমালোচনার শিকার হয়।