নয়াদিল্লি: বিদেশী প্রকাশনার এক অভিযোগকে ভিত্তি করে সাম্প্রতিক বিজেপি কংগ্রেস দ্বৈরথে সরগরম রাজনৈতিক মহল। বিদেশী প্রকাশনাটির অভিযোগ ফেসবুক বিজেপি নেতৃত্বের কুকথার দিকে কোনও নজর দিচ্ছে না। কংগ্রেস যখন এই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাব খাটানোর প্রমাণ খুঁজছে ঠিক তখনই শাসকদল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটার কথা উল্লেখ করে বলেছে কংগ্রেসের আঙুল তোলা উচিত নয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, ফেসবুক বিজেপি নেতা ও কর্মীদের কুকথা এবং প্রকাশের অযোগ্য বিষয়গুলিকে ঠিকভাবে দেখছে না। জার্নালে আরো প্রকাশ হয়েছে দৈত্যাকার সোশ্যাল মিডিয়ার এক আধিকারিক বলেছেন বিজেপি নেতাদের এই নিয়ম ভাঙার বিরোধিতা করলে দেশে ফেসবুকের ব্যবসায় টান পড়তে পারে। বর্তমান ও পূর্বতন কর্মীদের উদ্ধৃত করে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের প্রতি ফেসবুকের একটি বিস্তৃত অর্থে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি নেতাদের তুলোধোনা করছেন নিয়মিত। তিনি টুইট করেছেন বিজেপি এবং আরএসএস ভারতে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপকে চালনা করছে। তারা ভুল খবর এবং ঘৃণা ছড়াচ্ছে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
শেষমেশ মার্কিন মিডিয়া ফেসবুকের সত্যটি প্রকাশ করেছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি টুইট করে বলেছেন তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির অবশ্যই ফেসবুকের কাছ থেকে শোনা উচিত তারা ভারতে কুকথা নিয়ে কী করতে চাইছে। সংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ তড়িঘড়ি তিন বছর পুরনো কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিষয়টি তোলেন। দিল্লি হিংসার আগে কুকথার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রাও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন মনে হচ্ছে, ফেসবুককে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে যাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ গোপন করা হয়। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নিয়ে তথ্য ভুল দেওয়ার বিজেপির অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে অস্বীকার করে কংগ্রেস।