জয়পুর: দলের হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঘরে ফিরেছেন বিদ্রোহী শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা৷ পাইলটের প্রত্যাবর্তনে অটুট রাজস্থানের রাজ্যপাট৷ এবার পালা তাঁর দাবি পূরণের৷ ঘরে ফেরার আগে দিল্লিতে রাহুল গান্ধী ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়ড়ার সঙ্গে বৈঠকে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী৷ সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতেই গত কাল ১৬ অগাস্ট তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করল কংগ্রেস৷ এই কমিটিতে রাখা হয়েছে বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল, রাজ্যসভার সদস্য কেসি বেণুগোপাল এবং অজয় মাকেনকে৷
আরও পড়ুন- BREAKING: বাতিল হবে না পরীক্ষা, পড়ুয়াদের কেরিয়ার আগে: সুপ্রিম কোর্ট
ইতিমধ্যেই পাইলটের দাবি মেনে এআইসিসি-তে রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অবিনাশ পাণ্ডেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর বদলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকনকে রাজস্থানের দায়িত্ব সঁপেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলটের প্রধান দাবিই ছিল রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অবিনাশ পাণ্ডেকে সরিয়ে দ্রুত একটি কমিটি তৈরি করতে হবে৷ যেখানে বিধায়করা তাঁদের অসন্তোষ জানাতে পারবেন৷
আরও পড়ুন- ব্যবসায়িক কারণে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বিতর্কে প্রতিক্রিয়া ফেসবুকের
তিন সদস্যের এই কমিটি শচীন পাইলট এবং রাজস্থানের বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। সেই অনুসারে পরবর্তীকালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপাল। প্রসঙ্গত, রাজস্থান বিধানসভায় আস্থা ধ্বনি ভোটে অশোক গেহলট সরকার জয়ী হওয়ার দু’দিন পরেই এই ঘোষণা করে কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন- মিশছে বিষ, মানব জীবনে অত্যন্ত বিপজ্জনক যমুনার জল, IIT দিল্লির রিপোর্টে উদ্বেগ
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজের অনুগামী ১৮ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে আস্তানা গেড়েছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি শচীন পাইলট। তাঁর এই পদক্ষেপে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব৷ প্রায় এক মাস টানটান উত্তেজনার পর অবশেষে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর বরফ গলে৷ পাইলট যেমন নমনীয় নমোভাব নেন, তেমনই তাঁর দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেয় হাইকমান্ড৷ এর পরেই ‘ঘর ওয়াপাসি’ হয় পাইলটের।