ওয়াশিংটন: বিজেপি নেতাদের 'হেট স্পিচ'এ আমল দিচ্ছে না ফেসবুক। গত সপ্তাহে 'ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল'-এ প্রকাশিত এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের জন্য অনলাইনে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফেসবুকে কর্মরত এক নির্বাহীকে। রবিবার দিল্লি পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন ৪৯ বছর বয়সী আঁখি দাস। এনডিটিভি-র খবরে অনুসারে অভিযোগে ৫ জনের নাম লিখেছেন তিনি এবং 'ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'-এ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের লিংকও দিয়েছেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় যুক্তদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার ও নিজের পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে তিনি লিখেছেন, “আমি ক্রমাগত ভয় ও হুমকির মধ্যে রয়েছি, বিশেষত একজন মহিলা হিসেবে। অপরাধীরা নিজেদের পরিচয় গোপন করতে ও তারসঙ্গে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে এবং তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্ররোচনা দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কাজ করছে। এই হুমকির গুলি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত গত ১৪ ই আগস্ট, ২০২০র একটি নিবন্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যা বিকৃত করে আরও বিস্তারিত আকারে ভারতের বিভিন্ন প্রকাশনীর মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে৷”
গত শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে নাম না প্রকাশ করে ফেসবুকের অধীনে কর্মরত একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎকার বলে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে যে, তেলঙ্গানার একজন বিজেপি বিধায়ককে তাঁর সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্টের জন্য ফেসবুকে স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি রুখতে ভিতর থেকে হস্তক্ষেপ করেছিলেন ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যদিও এবিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুক এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেছে যে তারা তারা 'হেট স্পিচ' নীতি কার্যকর করতে “কোনো রাজনৈতিক অবস্থান বা দলীয় সহযোগিতা বিবেচনা করে না।”
এদিকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি জানার পর, ভোটারদের প্রভাবিত করতে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে বিজেপি এবং আরএসএস এর বিরুদ্ধে “ভুয়া খবর” ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে এর পাল্টা হিসেবে আক্রমণাত্মক ভাষায় বিরোধী দলকে 'কেমব্রিজ অ্যানালিটিক'-এর বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। প্রসঙ্গত, এই হুমকি সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর একে ” ভারতীয় গনতন্ত্রের ভিতকে হুমকি” বলে উল্লেখ করে অভিযোগগুলির তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেসের একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি(জেপিসি)।