আদানি গোষ্ঠীর হাতে কেন কেরল বিমানবন্দর? ব্যাখ্যা বিমানমন্ত্রীর

আদানি গোষ্ঠীর হাতে কেন কেরল বিমানবন্দর? ব্যাখ্যা বিমানমন্ত্রীর

143547478e76494e7cae21f5c8bb3537

তিরুবন্তপুরম: কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরকে আদানিদের গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে৷ গৌতম আদানির হাতে তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর তুলে দিতে চাইছে না কেরল সরকার৷ বুধবার রাতেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ 

আরও পড়ুন- এখনও অনিশ্চিত ৬৪ হাজার সংস্থার ভবিষ্যৎ, ১.৫ লক্ষ সংস্থায় ফের চালু EPF

তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের যদি বেসরকারিকরণ করাই হয়, তাহলে চাওয়া সত্ত্বেও কেন কেরল সরকারের হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হল না৷ বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিয়ে সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের দুই বাম সাংসদ৷ এর জবাবে টুইট করে হরদীপ সিং পুরী বলেন, নিয়ম নেমেই আদানি গ্রুপের হাতে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ নিলামে তাঁরা যাত্রীপিছু ১৬৮ টাকা দেওয়ার কাথা জানিয়েছে৷ কেরল রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম (কেএসআইডিসি)-র দেওয়া দরের চেয়ে ১০ শতাংশ কম হলেও তাদের বিমানবন্দর পরিচালনার ভার দেওয়া হত। কিন্তু যাত্রীপিছু মাত্র ১৩৫ টাকা দর হেঁকেছে কেএসআইডিসি৷ যা আদানি গ্রুপের দেওয়া দরের চেয়ে ১৯.৬৮ শতাংশ কম৷ এদিকে, তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের জন্য যে পদ্ধতিতে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেরল হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলা  নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই কী  ভাবে আদানি গ্রুপের হাতে ৫০ বছরের জন্য বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাম সাংসদরা৷ 

আরও পড়ুন- হোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রের পর এবার হল খোলার পরিকল্পনা কেন্দ্রের

প্রসঙ্গত, তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর থেকে বছরে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা লাভ হওয়ার পরও তা বেসরকারি হাতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এর আগে আমেদাবাদ, লখনউ ও মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরও ৫০ বছরের জন্য আদানি গ্রুপকে লিজ দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, ‘‘বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ করে আসলে জাতীয় সম্পত্তি লুট করা হচ্ছে৷’’ তবে বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর৷ তিনি বলেন, ‘‘তিরুবনন্তপুরমের মানুষ এই শহরের ইতিহাস, মর্যাদার যোগ্য একটি প্রথম শ্রেণির বিমানবন্দর চায়৷ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হলেও, সেই দিক থেকে দেখতে গেলে দীর্ঘ বিলম্বের চেয়ে এই সিদ্ধান্ত সঠিক৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *