নয়াদিল্লি: করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা দেশ৷ দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে থমকে দেশের অর্থনীতি৷ কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ আয় কমেছে আম জনতার৷ করোনার জেরে তৈরি হওয়া অচলবস্থার মধ্যে শীঘ্রই বিশেষ বিমানের সওয়ার হতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ বিপুল টাকা খরচে বিলাসবহুল বিমান নরেন্দ্র মোদীর জন্য আগামী সপ্তাহের আমেরিকা থেকে দিল্লির মাটি ছুঁতে চলেছে বলে খবর৷
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আসছে ভিভিআইপি বিমান এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান? প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি-সহ দেশের বিশেষ পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তফে দুটি বিশেষ ধরনের বিপুলাকায় বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমান আমেকারিকা থেকে উড়ে আসতে চলেছে দেশের মাটিতে৷ দু’টি বিলাসবহুল বিমানের বরাত দেওয়া হলেও প্রথম পর্বে একটি বিমান আগামী সপ্তাহে রাজধানীর মা ছুঁতে পারে বলে খবর৷ দ্বিতীয় বিমানটি বছরের শেষের আসার কথা৷ দুটি বোয়িং বিমান অভেদ্য দূর্গ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে৷ এর দাম প্রায় ৮ হাজার ৪৫৮ টাকা কোটি টাকা৷
কী কী সুযোগ সুবিধা থাকছে এই বিমানে? জানা গিয়েছে, এই বিমানের থাকছে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা৷ শত্রুপক্ষের রাডারের চোখে ধুলো দিয়ে আকাশে উড়তে পারে এই বিমান৷ সেইসঙ্গে থাকছে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ থাকছে অত্যাধুনিক ও সুরক্ষিত যোগাযোগ৷ তাতে আড়ি পাতা অসম্ভব৷ ঠিক অনেকটা মার্কিন এয়ার ফোর্স ওয়ানের মতো৷ যে বিমানটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যবহার করে থাকেন৷ এবার সেই বিমানে উড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
এখানেই চমক শেষ হচ্ছে না, হাজার কোটির বিমান বলে কথা৷ নতুন এই বিমানের ভেতরে থাকছে ভিভিআইপি যাত্রীদের জন্য কনফারেন্স রুম৷ থাকছে বড় কেবিন৷ মিনি মেডিক্যাল সেন্টারও থাকবে বিমানের অন্দরে৷ সেই ভিভিআইপি-র সফরসঙ্গীদের জন্যও থাকছে বিশেষ আসন৷ নতুন এই বিমান একটানা ১৭ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম৷ এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান চালাবেন বায়ুসেনার বিশেষ প্রশিক্ষিত পাইলটরা৷
তবে, প্রশ্ন উঠছে, করোনা আবহে দেশের জনতা যখন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন, যখন দেশের জনতার আয় কমছে, কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন কমপক্ষে ৫ কোটি শ্রমিক, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গিয়েছে, তখন রাষ্ট্রের ‘আশু কর্তব্য’ এড়িয়ে কীভাবে বিপুল খরচে বিমান আনানোর প্রস্তুতি? দেশের জনতা যখন অর্থনৈতিক ভাবে অসুরক্ষিত, তখন জনতার জননেতার জন্য বিলাশবহুল আয়োজন কি স্যতিই এখনই প্রয়োজন? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই জনতার অন্দরে৷