নয়াদিল্লি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা৷ সংক্রমণে পিছিয়ে নেই বাংলা৷ দীর্ঘ লকডাউন কিংবা সাপ্তাহিক লকডাউন করেও নিয়ন্ত্রণে আসছে পরিস্থিতি৷ গোটা দেশ এখন অপেক্ষায়, কবে আসবে করোনা টিকা? টিকা তৈরি হলেও কীভাবে তা হাতে পাওয়া যাবে? দেশের জনতার সেই উৎকণ্ঠার মধ্যে করোনা টিকা তৈরি থেকে বিলিবণ্টন নিয়ে রূপরেখা তৈরি করতে তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র৷ করোনা টিকার চাহিদা বুঝতে রাজ্যের সঙ্গে কথা হতে পার শীঘ্রই৷
করোনা টিকা আবিষ্কারের কাউন্টডাউন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ হিউম্যান ট্রায়াল চূড়ান্ত ধাপেও পৌঁছে গিয়েছে করোনা টিকা৷ আর সেই খবরে কৌতূহল বাড়ছে সাধারণ জনতার৷ সাধারণ জনতার সেই কৌতূহল মেটাতে বড়সড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছরের গোড়াতে চলে আসবে করোনা টিকা৷ কেন্দ্রীয় সরকারও ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করেছে৷ চলছে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ৷ রয়েছে বিশেষ নজরদারি৷ ট্রায়ালের ফলাফল ইতিবাচক মিলেছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী৷ দ্রুত টিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে৷ বাজারে করোনার ভ্যাকসিন এলে তা কেন্দ্রীয় স্তরেই কেনা ও বিলি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ তারপর পাঠানো হবে রাজ্যগুলির চাহিদা মতো৷ গোটা বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলতে চাইছে কেন্দ্রের তৈরি বিশেষ কমিটি৷
এখনও পর্যন্ত দেশীয় ২ ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার পথে৷ ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’ ও ক্যাডিলার ‘জাইকোভ-ডি’র হিউম্যান ট্রায়ালে এখনও পর্যন্ত নেতিবাচক ফলাফল আসেনি৷ আর এই ফলাফলই গতি বাড়িয়েছে পরবর্তী পর্যায়ে৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদেরই প্রয়োজন ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে৷ যাদের পরিস্থিতি খারাপ, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ তারপর সাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন বিলি করা হবে৷ তবে যতদিন না টিকা বাজারে না আসছে, ততদিন দূরত্ব বিধি ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকবে বলেও জানিয়েছেন ডাঃ হর্ষ বর্ধন৷