নয়াদিল্লি: দিনভর নাটকের সমাপ্তি৷ অবশেষে স্বস্তি ফিরল গান্ধী পরিবারের৷ দলে রাস ফিরল সেই গান্ধী পরিবারের হাতেই৷ লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর চেয়ার আরও একবার ফিরে পেলেন সোনিয়া গান্ধী৷ ছয় মাস পর পরবর্তী নির্বাচন৷ তবে দিনভর কাদা ছোড়াছুড়ি, দ্বন্দ্বের পরও কেন স্থায়ী নেতা নির্বাচন করা গেল না, ফের প্রশ্নের মুখে গান্ধী পরিবার৷ বৈঠকের শুরুতেই কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়ে৷ রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রয়া জানান কপিল সিবাল৷
আপাতত সভানেত্রী পদে কাজ চালিয়ে যাবেন সোনিয়া গান্ধি৷ আগামি ৬ মাসের মধ্যে দলের স্থায়ী সভাপতি পদে নির্বাচন বলে৷ সোনিয়ার উপর আস্তা রেখে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কেএইচ মুনিয়াপ্পা৷
আজ সকাল ১১ টায় শুরু হয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক৷ সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটিতে শুরু থেকে একের পর এক ঝড় ওঠতে থাকে৷ পরে সর্বসম্মতিক্রমে আপাতত সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদসংস্থা কংগ্রেসের একটি বিশ্বস্ত সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করেছে৷ আগামী ছ’মাসের মধ্যে দলের সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলেও নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত৷ আর তখনও যদি একই হাল, তাহলে নিচু স্তরের কর্মীরা কাজ করবেন তো? উঠছে প্রশ্ন৷
এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়ে৷ দলের অন্দরে সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করে চিঠি দেন বর্ষীয়ান নেতারা৷ তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী৷ ট্যুইট করে রাহুলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান কপিল সিবাল৷ জানান, রাহুল গান্ধী বলছেন আমরা বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছি৷ আমি রাজস্থান হাইকোর্টে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছি৷ মণিপুরে কংগ্রেসের পাশে থেকেছি৷ গত ৩০ বছরে কোনও বিষয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়াইনি৷ আমরা সঙ্গে বিজেপির যোগ প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব৷ কিন্তু, এত বিতর্কের পরও স্থায়ী নেতা নির্বাচন করতে না পারায় ফের প্রশ্নের মুখে কংগ্রেসের হাইকমান্ড৷