নয়াদিল্লি: ভারতে সংস্থার ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগ করুক সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক৷ মার্ক জুকারবার্গের কাছে লিখিত আবেদন জানালেন ৫৪ জন প্রাক্তন আমলার একটি দল৷
সোমবার প্রাক্তন অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অফিসাররা একটি বিবৃতিতে জানান, ‘‘এই আশা নিয়ে আমরা আপনার কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনি ভারতে কঠোর ভাবে ফেসবুকের ‘বিদ্বষ রোধ আইন’ প্রয়োগ করবেন৷ এই ধরনের নীরিক্ষা চলাকালীন ভারতে ফেসবুকের বর্তমান পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ যেন তদন্তকে প্রভাবিত করার মতো অবস্থানে না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করবেন৷’’
আরও পড়ুন- লাগবে না কোনও নথি, এবার আরও সহজ আধার আপডেট
সম্প্রতি আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দাবি করা হয়েছিল বাণিজ্যিক স্বার্থে বিজেপি নেতাদের হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বাতিল করেনি সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক৷ কারণ তাঁরা বিজেপিকে ভয় পায়৷ মার্কিন সংবাদপত্রটি আরও দাবি করা হয়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগে বাধা দিয়েছিলেন ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ আঁখি দাস। আঁখি দাস সংস্থার কর্মীদের বলেছিলেন, বিজেপি নেতাদের আইনভঙ্গকারী হিসেবে শাস্তি দেওয়া হলে ভারতে ফেসবুকের বাণিজ্যিক ক্ষতি হতে পারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গন্ডোগোলের সূত্রপাত৷ যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে ফেসবুক৷ নিরপেক্ষ আচরণ করা হয়েছে বলেই সংস্থার দাবি৷
আরও পড়ুন- শেষ ৪ মাসে কত টাকার টিকিট বাতিল হয়েছে? RTI রিপোর্ট রেলের
৫৪ জন প্রাক্তন আইএএস অফিসারের মধ্যে রয়েছেন সালাহউদ্দিল আহমেদ, ওহাজাত হিবুবুল্লাহ এবং হর্ষ মান্দের৷ রয়েছেন আইপিএস অফিসার সাফি আলম, ভাপ্পালা বালাচন্দ্রন এবং কে সালিম আলি৷ তাঁদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে নিরুৎসাহিত করার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক৷ নয়তো পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে তারা৷’’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ফেসবুকের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে৷ আমরা লক্ষ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশেও একইভাবে ফেসবুকের এহেন আচরণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’’ তবে ফেসবুকের বক্তব্য, কারও রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দল নির্বিশেষে সকলের জন্য ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে৷