নয়াদিল্লি: একটা চিঠি। আর সেই চিঠি নিয়েই কংগ্রেসে টালবাহানা শুরু হয়ে গিয়েছিল সোমবার। সেখান থেকেই একের পর এক মন্তব্য। রাহুল গান্ধির নামে ‘ভুয়ো’ মন্তব্যও রটে গিয়েছিল। সাত ঘণ্টা ওযার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সেই মান অভিমান হোক বা টানাপোড়েনের সমাপ্তি ঘটে৷ ৭ অগস্ট কংগ্রেসের হাইকমান্ডের কাছে সেই চিঠি গিয়েছিল৷ সেই চিঠির পটভূমি প্রায় পাঁচ মাস আগেই তিরবনন্তপুরমে শশী থারুরের বাসভবনে তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন- লাগবে না কোনও নথি, এবার আরও সহজ আধার আপডেট
কী হয়েছিল শশী থারুরের বাসভবনে? কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিরুবনন্তপুরমে কংগ্রেসের বাসভবনে মাস পাঁচেক আগে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসকে সাংগঠনিকভাবে আরও মজবুত করতে ডাকা হয়েছিল সেই বৈঠক। কিন্তু তখনই ওই চিঠির পটভূমি গঠন হয়ে গিয়েছিল। চিঠিতে লেখা ছিল কংগ্রেসের এমন একজন নেতা দরকার, যিনি ভিসিবল। যাঁকে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা প্রয়োজনে পান। খুব স্বাভাবিকভাবে এটা যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে পরোক্ষে ইঙ্গিত করা হচ্ছে, তার বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন- শেষ ৪ মাসে কত টাকার টিকিট বাতিল হয়েছে? RTI রিপোর্ট রেলের
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক সাংসদ বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে’ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে চিঠিতে সই করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘এটা বিষয় সংক্রান্ত, ব্যক্তিত্ব নয়। বার্তাবাহকে নিশানা না করে গান্ধী ও অন্য বর্ষীয়ান নেতাদের (চিঠির) বার্তা পড়া উচিত ছিল। আমরা চিঠিতে নাম উল্লেখ করেছিলাম কারণ আমাদের বিশ্বাস যে আমাদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আছে। এখানে কোনও রহস্য লুকিয়ে নেই।’
আরও পড়ুন- সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষেও অধরা সমাধান! অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সেই সনিয়াই
তবে শশী থারুরের বাড়িতে নৈশভোজের কথা কংগ্রেসের অনেক নেতা স্বীকার করলেও চিঠির কথা কেউ স্বীকার করেননি। নৈশভোজে অংশগ্রহণ করলেও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি, সচিন পাইলট, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং মণিশংকর আইয়ার চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি। সিঙ্ঘভি জানিয়েছেন, নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন, তবে কোনও চিঠির কথা তাঁকে জানানো হয়নি। বিদ্রোহের পর সদ্য দলে ফেরা সচিন পাইলট এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। আইয়ারও সিঙ্ঘভির সুরে সুর মিলিয়েছেন। তিনিও জানিয়েছেন, চিঠির কথা তাঁর জানা ছিল না। তবে পি চিদাম্বরম কংগ্রেসের দলের অভ্যন্তরের বিষয়ে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন।