প্রণবের দীর্ঘ ৫ দশকের রাজনৈতিক জীবনে ৫টি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা

প্রণবের দীর্ঘ ৫ দশকের রাজনৈতিক জীবনে ৫টি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা

 

নয়াদিল্লি: পাঁচ দশকের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে অনেক উত্থান-পতন ঘটেছিল কীর্ণাহারের ব্রাহ্মণ সন্তান প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জীবনে৷ তবুও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দিল্লির সক্রিয় রাজনীতিতে সফলতম বাঙালি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য পাঁচটি মুহূর্ত-

কংগ্রেসে যোগদান এবং দেশের কনিষ্ঠতম অর্থমন্ত্রী হিসাবে শপথ – ১৯৬৯ সালে রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের৷ ওই বছরই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাংলা কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী, নেহরু জমানার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কেভি কৃষ্ণমেননের জয়ের নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এর পরই দ্রুত রাজনৈতিক উত্থান ঘটে তাঁর৷ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মা নজর কাড়ে তাদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর৷ এর পর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ এর পর বাংলা কংগ্রেস ছেড়ে হাত ধরেন কংগ্রেসের৷ ১৯৮২ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সঁপা হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে৷ হয়ে উঠেন ইন্দিরা ক্যাবিনেটের ‘নাম্বার টু’৷ তিনিই ছিলেন দেশের কনিষ্ঠতম অর্থমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী, আজীবন লড়াই করে প্রণব মুখোপাধ্যায় আজ ইতিহাসে

 

কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার- ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র তথা কংগ্রেসের উত্তরাধিকার রাজীর গান্ধীর সঙ্গে প্রণববাবুর মতানৈক্য বাড়তে থাকে৷ দলের অন্দরে ক্রমাগত কোণঠাসা হচ্ছিলেন তিনি৷ রাজীব গান্ধী দিল্লির মসনেদ বসার পর পদ হারান প্রণববাবু৷ মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করে পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হাইকম্যান্ডের সঙ্গে বিবাদের জেরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এর পর রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস নামে নতুন দল গড়েন৷ ১৯৮৯ সালে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয় তাঁর দল৷ 

 

রাষ্ট্রপতি পদে শপথ- ২০১২ সালের ২৫ জুলাই দেশের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা৷ ওই বছরই অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- নিজের কার্টুন জমাতে ভালবাসতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, রাষ্ট্রপতি ভবনে করেছিলেন প্রদর্শনী

 

আরএসএস-এর ইভেন্টে যোগদান- ২০১৮ সালে দেশের প্রথম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ একাধিক কংগ্রেস নেতা তাঁর এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন৷

 
 

ভারত রত্ন- দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ ২০১৯ সালে ভারত-রত্ন উপাধি দেওয়া হয় তাঁকে৷ তাঁকে সম্মান জানান বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =