সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এখনও খুনের প্রমাণ মেলেনি: সিবিআই

সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এখনও খুনের প্রমাণ মেলেনি: সিবিআই

 

মুম্বই:  সুপ্রিম নির্দেশে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্যের তদন্ত শুরু করছে সিবিআই৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি বলেই জানালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তিন অফিসার৷ যদিও তদন্ত এখনও চলছে৷ অভিযুক্তদের প্রতিদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ 

আরও পড়ুন- রিয়াকে ইচ্ছা করে ‘ফ্রেম’ করা হচ্ছে, বিস্ফোরক অভিযোগ স্বরা ভাস্করের

 

তদন্তকারী সংস্থার তিন অফিসার ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে, তাতে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলা সম্ভব নয়৷ তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই দিক থেকে মামলাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে সুশান্তকে যে খুন করা হয়নি, এখনই সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেননি তদন্তকারী অফিসাররা৷ খুনের দৃষ্টিভঙ্গী থেকেও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই সুশান্তের ফ্ল্যাটে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে৷ মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে৷ রিয়া চক্রবর্তী সহ এই মামলায় সকল অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে৷   

 

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পর পর চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এ দিন ডাকা হয়নি রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিককে৷ তবে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রিয়ার  বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং মা সন্ধ্যা চক্রবর্তীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সুশান্তের উপর মানসিক নির্যাচন ও তাঁর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন অভিনেতার বাবা কেকে সিং৷ তাঁদের পাশাপাশি এদিন সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দেন সুশান্তের সহযোগী নীরজ সিং, বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পরিচারক কেশব এবং প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীও৷ 

আরও পড়ুন- ছবিতে মাতৃত্বের ছোঁয়া, সন্তান জন্মানোর পাঁচ দিন পরই ইনস্টাগ্রামে আপডেট দিলেন কেটি পেরি

 

গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ৷ এই ঘটনায় তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেকে সিং৷ অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও৷ এমনকী রিয়া সুশান্তকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন সুশান্তের বাবা৷ 

 

অন্যদিকে, এদিন শ্রুতির আইনজীবী অশোক সারাওগি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রিয়া আসার পর থেকেই  সুশান্ত মাদক নিতে শুরু করেছেন, এ কথা ভুল। আমার মক্কেল তাঁকে কাছ থেকে দেখেছে। সুশান্তের প্রাক্তন দেহরক্ষী এবং চালকই তাঁকে মাদকের সন্ধান এনে দিতেন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + eleven =