সংসদে তোলা যাবে না কোনও প্রশ্ন, বাদল অধিবেশনে নয়া নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের! বিদ্রোহ বিরোধীদের

সংসদে তোলা যাবে না কোনও প্রশ্ন, বাদল অধিবেশনে নয়া নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের! বিদ্রোহ বিরোধীদের

 

নয়াদিল্লি: চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন৷ এর আগেই সরকারের তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়ে দানা বাঁধল বিতর্ক৷ অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধিদের হাত থেকে প্রশ্ন করার অধিকার কেড়ে নিল কেন্দ্র৷ অর্থাৎ আসন্ন বাদল অধিবেশনে থাকছে না ‘কোশ্চেন আওয়ার’৷ এছাড়াও প্রাইভেট মেন্বার বিজনেস বাতিল এবং জিরো আওয়ারের সময় কমিয়ে আধ ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিরক্ত বিরোধী শিবির৷ 

আরও পড়ুন- BREAKING: প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চিনের, রুখে দিল ভারত

 

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সংসদ৷ যাবতীয় কাজ হয়েছে ভার্চুয়ালি৷ দীর্ঘদিন পর সতর্কতা মেনে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন৷ তবে করোনা বিধি পালন করতে এবার ভিন্ন সময়ে শুরু হবে রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন৷ মাত্র চার ঘণ্টা করে দু’ই কক্ষের অধিবেশন বসবে৷ সাংসদদেরও সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মেনে চলবে হবে৷ তাঁদের বসার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ প্রথমদিন লোকসভার অধিবেশন শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে৷ চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত৷ অন্যদিকে, রাজ্যসভার অধিবেশন চলবে ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত৷ তবে দ্বিতীয় দিন থেকে সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজ্যসভা এবং ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন বসবে৷ 

 

মাত্র ৪ ঘণ্টা অধিবেশন হওয়ায় আসন্ন বাদল অধিবেশনে অনেক কিছুরই বদল ঘটানো হচ্ছে৷ সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে ‘কোশ্চেন আওয়ার’৷ এই সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারপক্ষের সামনে নিজেদের প্রশ্ন তুলে ধরেন বিরোধী শিবিরের বিধায়করা৷ বাদল অধিবেশনে ‘জিরো আওয়ার’-এর সময় কমিয়েও মাত্র আধ ঘণ্টা করা হয়েছে৷ ওই সময়সীমার মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে৷ এই সিদ্ধান্তেও ক্ষুব্ধ বিরোধিরা৷ 

আরও পড়ুন- সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এখনও খুনের প্রমাণ মেলেনি: সিবিআই

 

এদিন সকালে টুইট করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘প্যান্ডামিককে হাতিয়ার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৫০ সালের পর এই প্রথম সংসদের কোশ্চেন আওয়ার বাতিল করা হল৷ সংসদীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগেই কোশ্নেন আওয়ারের জন্য সাংসদদের প্রশ্ন জমা দিতে হয়৷ আগামী ১৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে অধিবেশন৷ তার আগেই বাতিল করে দেওয়া হল এই পর্ব৷’’  সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অধীর চৌধুরী এবং শশী থারুরও৷  বিরোধীদের দাবি, আসলে যে কোনও ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই ভয় পাচ্ছে মোদী সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 6 =