নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ২৭ মে পিএম-কেয়ার্স’ তহবিল গঠন করা হয়৷ এই তহবিলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে৷ কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা পড়ে ৩ হাজার ৭৬ কোটি টাকা৷ সম্প্রতি ‘পিএম কেয়ার্স’ ওয়েবসাইটে এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷
পিএম-কেয়ার্স তহবিল খোলার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫ টাকা জমা পড়ে। এর মধ্যে বিদেশ থেকে এসেছে মাত্র ৩৯ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা৷ বাকি টাকাটা দিয়েছে দেশের মানুষ৷ পাঁচ দিনে সংগৃহীত টাকার উপর ৩৫ লক্ষ টাকা সুদ পায় সরকার৷
আরও পড়ুন- পাবজি-সহ ১১৮টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা ভারতের
পিএম-কেয়ার্স ফান্ড ওয়েবসাইটে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও দেশ-বিদেশের দাতাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ কেন্দ্রের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম৷ বুধবার টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘যে উদার দাতারা পিএম-কেয়ার্সে অনুদান দিয়েছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না কেন? অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা ট্রাস্টে নির্ধারিত সীমার উর্ধ্বে কেউ অনুদান দিলে, অনুদানকারীদের নাম প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন?’’ এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আরও লেখেন, ‘‘দান গ্রহণকারীকে সকলে চেনেন৷ ট্রাস্টিদেরও চেনেন৷ তাহলে অনুদানকারীদের নাম প্রকাশে কিসের ভয়?
আরও পড়ুন- BREAKING: পাবজি-সহ ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের
পিএম-কোয়ার্স নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন বিরোধীরা৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় ত্রাণ তহবিল বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড (এনডিআরএফ) থাকা সত্ত্বেও কেন আলাদা করে পিএম-কেয়ার্স ফান্ড গঠন করা হল, তা নিয়ে অসংখ্যবার প্রশ্ন উঠেছে৷ এমনকী পিএম-কেয়ার্সের টাকা এনডিআরএফ-এ হস্তান্তর করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও জানানো হয়৷ কিন্তু গত মাসে শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে পিএম-কেয়ার্সে সংগৃহীত টাকা এনডিআরএফ-এ জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ এর পরেই এদিন আচমকাই ‘পিএম কেয়ার্স’ ওয়েবসাইটে পাঁচ দিনের টাকার হিসাব তুলে ধরা হল৷