নয়াদিল্লি: গত শনিবার রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে পাহাড়ি এলাকা দখল করার চেষ্টা করেছিল চিনা ফৌজ৷ মঙ্গলবার রাতে ফের উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ করে চিনা বাহিনী৷ তাদের নিশানায় ছিল ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন চুসুল৷ যদিও চিনের সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারতীয় সেনা৷ এই ঘটনার পর থেকেই প্রচারের আলোকে ‘এস্টাব্লিশমেন্ট ২২’-র সম্ভাব্য ভূমিকা৷ এই গোপন বাহিনী ‘স্পেশাল ফ্রন্টায়ার ফোর্স’ নামেও পরিচিত৷ যার মাথায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সচিবালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷
আরও পড়ুন- করোনা আবহে কীভাবে হবে ভার্চুয়াল শিক্ষক দিবস? রইল কিছু টিপস
বর্ষীয়ান এক সেনা আধিকারিক জানান, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে স্পেশাল ফ্রন্টায়ার ফোর্স (এসএফএফ)৷ যদিও সেনার সঙ্গে এসএফএফ-এর যোগাযোগ ন্যূনতম৷ এক কথায় বলতে গেলে এসএফএফ ইউনিট সেনাবাহিনীর অংশ নয়৷ তবে তারা সেনাবাহিনীর অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ইউনিটগুলির নিজস্ব পদ রয়েছে যা সেনাবাহিনীর পদমর্যাদার সমতুল্য। তারা উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ বাহিনীর সদস্য৷ এসএফএফ কমান্ডোদের প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ‘র’ এবং সিআইএ৷ যাতে সহজেই শত্রুদের চোখে ধুলো দিতে পারে তারা৷ এসএফএফ গঠিত হওয়ার প্রথম কয়েক দশকে তাদের দায়িত্ব ছিল পরমাণু অস্ত্র নিয়ে চিনের পরিকল্পনার উপর নজর রাখা৷
আরও পড়ুন- ৫ সেপ্টেম্বর কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস?
১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পরেই এসএফএফ গঠিত হয়। এটি একটি গোপন দল ছিল৷ এই দলে মূলত তিব্বতি উদ্বাস্তুদের নিয়োগ করা করেছিল৷ প্রতিষ্ঠার সময় এই দলের নামকরণ করা হয়েছিল এস্টাব্লিশমেন্ট ২২৷ কোনও সেনা অফিসার বা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা শনিবারের ঘটনায় এসএফএফ-এর ভূমিকা স্বীকার না করলেও, সীমান্তে তাদের উপস্থিতির কথা তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ একাত্তরের যুদ্ধ, অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে অপারেশন ব্লু স্টার, কারগিল যুদ্ধ এবং দেশে বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল এসএফএফ। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি অপারেশনের অংশ হয়েছিল এই বাহিনী৷
এদিকে খবর, কালা টপের নীচে যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজিয়ে বসেছে চিনের সেনা। ভারী ও হাল্কা দু’রকমের যুদ্ধট্যাঙ্কই রয়েছে তাদের সামরিক বহরে। কিন্তু ট্যাঙ্ক নিয়ে তারা এগিয়ে আসতে পারছে না কারণ কালা টপের দখল নিয়ে নিয়েছে ভারতের স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। অন্যদিকে, প্যাংগং হ্রদ বরাবর চুসুল ও স্প্যানগুর সো এলাকায় টি-৯০ ভীষ্ম ও টি-৭২ যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজিয়ে বসে রয়েছে ভারতের বাহিনী। তাদের নিশানা চিনের ট্যাঙ্ক রেজিমেন্টের দিকে।