মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে মাদক যোগ খুঁজতে শুক্রবার সাত সাতসকালে রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র পাঁচ সদস্যের একটি দল৷ পাশাপাশি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আরও একটি দল এদিন সকালে হানা দেয় সুশান্তেরর প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতেও৷ রিয়া এবং স্যামুয়েলের বাড়িতে চলছে তল্লাশি পর্ব৷
এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ মুম্বইয়ে রিয়ার ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় এনসিবি’র টিম৷ তল্লাশি চলানোর সময় মুম্বই পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিল বলে সূত্রের খবর৷ কিছু ড্রাগ ডিলারের সঙ্গে রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক এবং মিরান্ডার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পরই এনসিবি’র আঁতস কাচে তাঁরা৷ খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠানো হবে৷
আরও পড়ুন- করোনার জেরে সংসদের বন্ধ প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রবল ক্ষোভ বিরোধীমহলে
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক যোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছিল এনসিবি৷ রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও এফআই দায়ের করে নারকোটিক্স বিভাগ৷ সম্প্রতি বান্দ্রা থেকে জাইদ ভিলাত্রা নামে বছর ২১-র এক ড্রাগ ডিলারকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি৷ শৌভিক এবং স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে ভিলাত্রার যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ পিটিআই সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর ভিলাত্রার কাছ থেকে ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ মাদক বিক্রি করেই ভিলাত্রা এই টাকা সংগ্রহ করেছিল বলে এনসিবি’র দাবি৷
এনসিবি’র ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা বলেন, ‘‘জেরার মুখে ভিলাত্রা জানিয়েছে, বান্দ্রায় ছোটোখাটো একটি খাবার দোকান চালায় সে৷ কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই ব্যবসার টালমাটাল অবস্থা৷ তাই ড্রাগ বিক্রি করেই উপার্জন চলছিল৷’’ অন্য একটি নারকোটিক্স মামলায় আব্বাস লাখানি এবং করণ আরোরা নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি৷ তাদের সূত্র ধরেই ভিলাত্রার খোঁজ পায় নারকোটিক বিভাগ৷
জাইদ ভিলাত্রাকে জেরা করার পরই বান্দ্রা থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদেল বাসিত পরিহারকে৷ সুশান্ত সিং রাজপুতের লিভ-ইন পার্টনার রিয়া চক্রবর্তী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা নারকোটিক্স মামলায় যোগ রয়েছে পরিহারের৷ এই পরিহারই শৌভিক এবং মিরান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল ভিলাত্রার৷
আরও পড়ুন- নিজের সঞ্চয় থেকে দেশের স্বার্থে ১০৩ কোটি টাকা দান নরেন্দ্র মোদীর
এনসিবি ছাড়াও রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি৷