নয়াদিল্লি: ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই গতকাল দু’দিনের সফরে লাদাখ পৌঁছান সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে৷ গত শনিবার প্যাংগং লেকের দক্ষিণে পাহাড়ি এলাকায় উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ করে চিনের লাল ফৌজ৷ এর পর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার লাদাখ পৌঁছান স্বয়ং সেনা প্রধান৷ শুক্রবার সকালে নারাভানে বলেন, ‘‘আমাদের দেশের সুরক্ষা ও নিরপত্তার জন্য বেশকিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷’’
আরও পড়ুন- কীভাবে কমবে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব? বেজিংকে কূটনৈতিক সমঝোতার বার্তা জয়শঙ্করের
গতকাল লেহ পৌঁছনোর পরই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি৷ সেনা অফিসার ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে সীমান্ত পরিস্থিতির পর্যালোচনাও করে দেখেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনাদের উচ্চ মনোবল রয়েছে। তারা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমি আবারও বলতে চাই যে আমাদের অফিসার ও জওয়ানরা বিশ্বের সেরা এবং তাঁরা কেবল সেনাবাহিনীই নয়, দেশকে গর্বিত করবে।”
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে৷ পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য বেশকিছু সতর্কমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কৌশলগত মোতায়েন করা হয়েছে৷’’ এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারাভানে বলেন, ‘‘গত দুই-তিন মাস ধরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে৷ তবে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে চিনের সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনার মাধম্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে৷ ভবিষ্যতেও তা চলবে। আমরা নিশ্চিত যে এই আলোচনার মাধ্যমে যে মতপার্থক্য রয়েছে তার সমাধান করা সম্ভব হবে। আমরা নিশ্চিত করব যে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় থাকবে এবং আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে৷’’
আরও পড়ুন- অস্তিত্ব হারাচ্ছে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, উন্মুক্ত বেসরকারিকরণের দরজা
প্রসঙ্গত ,গত এক সপ্তাহে দু-দু’বার ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিনা ফৌজ। ২৯ ও ৩০ তারিখ রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়৷ এর দু’দিন পর চুমার সেক্টরে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লাল ফৌজ৷ দু’বারই সেই চেষ্টা প্রতিহত করে ভারতীয় সেনা৷ পিছু হঠে চিন৷ প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্ত সুরক্ষিত করার পর এবার উত্তরপ্রান্তেও বাড়তি সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই অংশটি বিশেষভাবে স্পর্শকাতর বলেই বিশেষজ্ঞদের মত৷ কারণ এই অঞ্চলে চিনা বাহিনীর উপস্থিতি অনেকটাই বেশি৷