সুশান্তকে মাদক এনে দিতেন তিনি, এনসিবি-র জেরার মুখে স্বীকারোক্তি স্যমুয়েল মিরান্ডার

সুশান্তকে মাদক এনে দিতেন তিনি, এনসিবি-র জেরার মুখে স্বীকারোক্তি স্যমুয়েল মিরান্ডার

37a081b293016eb7444d9a4054dc570a

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু ও বলিউডে মাদক যোগের তদন্তে নেমে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক ও সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে৷ শনিবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (এনসিবি) জেরার মুখে স্যামুয়েল স্বীকার নেন, একটা সময় সুশান্তকে গাঁজা এনে দিতেন তিনিই৷ ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০-র মার্চ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন সুশান্তের মাদক সরবরহকারী৷  

আরও পড়ুন- চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, LAC তে ডিসএনগেজমেন্টের স্পষ্ট বার্তা রাজনাথের

শুক্রবার ভোরেই রিয়া চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়ি হানা দিয়েছিল এনসিবি-র টিম৷ রাতে গ্রেফতার করা হয় স্যামুয়েল ও শৌভিককে৷ স্যামুয়েল জানান, রিয়ার ভাই শৌভিকের এক বন্ধু সৌরদ্বীপর পরিচয় করিয়ে দেয় কমলজিৎ-এর সঙ্গে৷ তাঁর থেকেই অভিনেতার জন্য গাঁজার প্যাকেট কিনতেন তিনি৷ প্রতি প্যাকেটের দাম ছিল আড়াই হাজার টাকা৷ স্যামুয়েল আরও জানান, ওয়াটার স্টোন ক্লাব, প্রাইম রোজ অ্যাপার্টমেন্ট (এই ফ্ল্যাটেরই বাসিন্দা রিয়া) এবং মাউন্ট ব্ল্যাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্টে (সুশান্তের ঠিকানা) মাদক সরবরাহ করত এই কমলজিৎ৷ 

640d53f60950d0286a3aa2862f3e6bb5

গত মার্চ মাসে সুশান্তের জন্য স্যামুয়েলকে মাদক আনতে বলেন শৌভিক চক্রবর্তী৷  তিনিই স্যামুয়েলকে জাইদ ভিলাত্রার ফোন নম্বর দেন এবং বাসিত পারিহারের নাম উল্লেখ করতে বলেন৷ ৫ গ্রাম গাঁজার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার টাকা তোলেন স্যামুয়েল মিরান্ডা৷ এর পর ‘ইট অ্যারাউন্ড দা কর্নার’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় ভিলাত্রার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেন৷ 

আরও পড়ুন- শিক্ষক দিবসে কেঁপে উঠল ভূমি, কম্পের মাত্রা ৪ রিখটার স্কেল

এনসিবি’র জেরার মুখে শৌভিকও মাদক যোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তিনি জানান, রিয়ার নির্দেশেই মাদক কিনেছিলেন তিনি৷ এই মামলায় রিয়া, শৌভিক এবং গ্রেফতার হওয়া বাকি অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো৷ রিয়ার গ্রেফতারি নিয়েও বাড়ছে জল্পনা৷ 

সুশান্তের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, ‘‘আমাদের এফআইআরে বলা হয়েছে, সুশান্তকে ওভারড্রাগড করা হত। আমাদের বলা হয়েছিল যে এগুলি ডাক্তার বা মনোবিদের দেওয়া। তবে পরে যা জানা গিয়েছে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। হয়তো তাঁকে মাদকাসক্ত করে রাখা হত। তাঁকে এমন মাদক দিয়ে নেশাগ্রস্ত করে রাখা হত যাতে তাঁকে সহজেই কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *