নয়াদিল্লি: এনসিপিসিআর এর তথ্য পেয়ে জেনে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল ও রায়পুর পুলিশ যৌথভাবে এফআইআর দায়ের করল। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের তথ্যে বলা হয়েছে, টুইটারের মাধ্যমে একটি শিশু কন্যাকে হুমকি দেওয়া ও নির্যাতন করার হয়েছে। আইটি আইন ও যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা বা পোকসো আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
এনসিপিসিআর এর অভিযোগের ভিত্তিতে মোট তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্টের নামে এফআইআর করা হয়েছে বলে জানান, দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখার ডিসিপি অন্বেষ রায় এবং রায়পুর পুলিশের এসপি অজয় যাদব। ওই তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্টের একটি চালান মহম্মদ জুবায়ের। যিনি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট 'অল্ট নিউজে'র ফ্যাক্ট চেকার ও সহ প্রতিষ্ঠাতা। অন্যদিকে বাকি দুটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি হল @de_real_mask, এই অ্যাকাউন্টটি ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টটি হল @syedsarwar20, জানা গিয়েছে এই দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পোস্টে কমেন্ট করা হয়েছিল। এই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের তথ্য এখনও জানা যায়নি।
গত ৬ আগস্ট জুবায়ের একটি টুইট শেয়ার করেন যেখানে একজন নাবালিকা শিশুর ছবি ছিল। ওই শিশুর মুখ ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল ওই শিশু একটি অনলাইন স্প্যাট চলাকালীন তার বাবার সঙ্গে ছিল। এনপিসিআর অধিকর্তা প্রিয়াঙ্ক কানুঙ্গ জানিয়েছেন, সংস্থা এই পোস্ট সম্পর্কে গত ৮ আগস্ট জানতে পারে। সঙ্গে সঙ্গেই টুইটার কর্তৃপক্ষের থেকে এই ব্যাপারে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু টুইটারের তরফে কোনও সাড়া পাওয়া না যাওয়ায়, বাধ্য হয়ে সংস্থা গত শুক্রবার টুইটারের আধিকারিকদের তলব করে। এরপর সংস্থা পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছিল। তিনি আরও বলেন টুইটার এই বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্যে ১০ দিনের সময় চেয়েছে।
অন্যদিকে জুবায়ের এই ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি তিনি এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে রায়পুরের এসপি অজয় যাদব জানান, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। ওই পোস্টের কিছু কমেন্টস তাঁরা দেখেছেন, যেখানে ওই শিশুকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, আইপিসি আইনের ৫০৯ বি ধারা (যান্ত্রিক মাধ্যমের দ্বারা যৌন হেনস্থা), ও পোকসো আইনের ১২ ধারা (শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়নের শাস্তি), এবং আইটি আইনের ৬৭ ধারায় (বৈদ্যুতিন আকারে অশ্লীল উপাদান প্রকাশ বা প্রেরণের শাস্তি) এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ওই ৩টি অ্যাকাউন্টের নামে।