প্রাক্তন বিধায়ককে পিটিয়ে হত্যা যোগীর রাজ্যে! নিন্দায় কংগ্রেস, অখিলেশ

বলা বাহুল্য এই ঘটনায় যোগীর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিন্দায় মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দলগুলি। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব টুইট করে বলেন, বিজেপির শাসনে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত নন, ভীত হয়ে আছেন। এ ঘটনা চরম নিন্দার।

উত্তরপ্রদেশ: ৭৫ বছর বয়সি নৃভেন্দ্র মিশ্রা ওরফে মুন্না মিশ্রা সাধারণ লোক নন। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার নিঘাসন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার নির্দল এবং একবার সমাজবাদী পার্টির হয়ে বিধায়ক (১৯৮৯, ১৯৯১ এবং ১৯৯৩) নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ রুখতে গিয়ে খুন হতে হল তাঁকে। সূত্রের খবর, জমি দখলকারীদের মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে মুন্না মিশ্রার। সাম্প্রতিক কালে সাক্ষাৎকারে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু এর আগে দু’জন সাংবাদিক এবং এবার প্রাক্তন বিধায়কের হত্যার ঘটনা অন্যরকম ইশারাই দিচ্ছে। 

 

 

এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, সম্পূর্ণনগর থানা এলাকার এক গ্রামের রাস্তার পাশের জমির মালিক ছিলেন মুন্না মিশ্রা। কিন্তু একদল লোক এসে সেই জমি কবজা করে। খবর পেয়ে ছেলে সঞ্জীব কুমার মুন্নাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। জমি দখলে বাধা দিতে গেলে জনৈক কিষান কুমার গুপ্তার নেতৃত্বে দখলকারী বাবা-ছেলের ওপর চড়াও হয়। দু’জনকেই লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত প্রাক্তন বিধায়ককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন ইতিমধ্যেই মৃত্যু ঘটেছে। মুন্না মিশ্রার ছেলের দাবি, ঘটনাস্থলেই খুন হয়ে গিয়েছেন তাঁর বাবা।  

 

 

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানার এসপি সত্যেন্দ্র কুমার সাফাই দিয়ে বলেন প্রাক্তন বিধায়ক পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, জমি নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়, এরপর পরিস্থিতি বিগড়ে গেলে পড়ে যান প্রাক্তন বিধায়ক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘষণা করা হয়। এই বিবৃতি দিয়ে এসপি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তাঁরা। মুন্না মিশ্রার ছেলের অভিযোগ, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করছিল একদল লোক। তারা বাধা দিলে লাঠিপেটা করা হয়। গ্রামবাসীরা আহত মুন্না মিশ্রাকে ঘরে নিয়ে যায় ওদিকে পুলিশ এসে জমি দখলকারীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। 

 

বলা বাহুল্য এই ঘটনায় যোগীর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিন্দায় মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দলগুলি। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব টুইট করে বলেন, বিজেপির শাসনে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত নন, ভীত হয়ে আছেন। এ ঘটনা চরম নিন্দার। বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী টুইটে লিখেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক যাতে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে টুইট করেছে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসও। তারা স্পষ্ট লিখেছে, ইউপিতে জঙ্গলরাজ ভয়াবহ হয়ে চলেছে, সরকার ঘুমিয়ে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =