১০০,০০০ ডলারের চাকরি ছেড়ে দেশের মাটিতে সোনা ফলাচ্ছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র

১০০,০০০ ডলারের চাকরি ছেড়ে দেশের মাটিতে সোনা ফলাচ্ছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র

 

বেঙ্গালুরু: প্রথমে মার্কিন তালুক, তারপর দুবাই৷ ঝা চকচকে কর্পোরেট হাউজে মোটা বেতনের চাকরি৷ কিন্তু এসবে যেন দমবন্ধ হয়ে আসছিল তাঁর৷ তাই সব ছেড়েছুড়ে চলে আসেন কর্ণাটকে নিজের গ্রামে৷ খোলা আকাশের নীচে সবুজের মাঝে এসে বুঝলেন এখানেই লুকিয়ে রয়েছে তাঁর প্রাণ ভোমরা৷ 

আরও পড়ুন- নামেই জেল, ভিতরে মধুচক্র! মহিলা বন্দিদের উষ্ণ নাচে মত্ত খোদ জেলার

 

কর্ণাটকের কলাবুর্গি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সতীশ কুমার৷ পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র৷ কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করার পর পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে৷ বড় সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেন তিনি৷ বেতন ছিল বছরে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার৷ যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকা৷ বিপুল অর্থ আসলেও, ছিল না মানসিক শান্তি৷ তাঁকে যেন বারবার টানছিল মাটির সোদা গন্ধ৷ আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো কর্পোরেট হাউজের জাঁকজমক নয়, বরং স্রোতের বিপরীতে হেঁটে তিনি ফিরে আসেন মাটির কোলে৷ শুরু করেন কৃষিকাজ৷  

 

কুমার বলেন, ‘‘আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস এবং দুবাইতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র হিসাবে কাজ করেছি৷ বছরে প্যাকেজ ছিল ১ লক্ষ মার্কিন ডলার৷ কিন্তু সেই কাজ ছিল বড্ড একঘেঁয়ে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওখানে তেমন কোনও চ্যালেঞ্জ ছিল না৷ কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে মনোনিবেশ করতে পারছিলান না৷ তাই গ্রামে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই৷ দু’ বছর আগে এখানে চাষাবাদ শুরু করি৷ দুই একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম৷ গত মাসে তা বেচে আড়াই লক্ষ টাকা পেয়েছি৷’’

আরও পড়ুন- শব্দের চেয়ে ৬ গুণ গতি, স্বদেশি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের

সতীশ জানান, প্রথমে তিনি কালবুর্গি থেকে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূরে এক একড় জমিতে কৃষিকাজ শুরু করেছিলেন। গোটা জমিকে ৩৫টি ছোট ছোট টুকরোয় ভাগ করে বুনেছিলেন বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি। বছরে ১ লক্ষ ডলারের চাকরি ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন লাঙল৷ বছরে বেশ ভালোই রোজগার হয় তাঁর৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 2 =