উদয়পুর: পেশায় কৃষক তিনি। কতই বা মাসে ইলেক্ট্রিক বিল আসতে পারে? খুব বেশি হলেও হাজার পাঁচেকও হওয়ার কথা নয়। অথচ শেষ তাঁরই শেষ দু’ মাসের বিল এল ৩.৭১ কোটি টাকা। বিলে দেখানো হয়েছে, মোট ৩৮,৫১৪,০১৯ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছেন তিনি। বিল দেখে তো হার্টফেল হওয়ার উপক্রম কৃষকটির। পড়ি কি মরি করে ছুটে আধিকারিকদের কাছে পৌঁছনোর পর জানা গেল, ভুল করেছেন কোনও এক বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মী। আসলে তাঁর বিদ্যুতের বিল এসেছে মাত্র ৬,৪১৪ টাকা, তাও দু’ মাস মিলিয়ে।
রাজস্থানের উদয়পুর শহর থেকে ৬৫ কিমি দূরে গিংলা গ্রামে থাকেন পেমারাম প্যাটেল। ২২ বছর বয়সি পেমারাম কৃষিকাজ করেন, সেই সঙ্গে তাঁর একটি দোকানঘর আছে। তিনি সেই দোকানঘর ভাড়ায় দিয়ে রেখেছেন। সেই দোকানে অটো সার্ভিস সেন্টারের কাজ চলে। এই দোকানঘরেরই ২২ আগস্ট ইস্যু হওয়া বিলে পৌনে চার কোটির মতো বিল আসে। অটো সার্ভিস সেন্টারে আজমের বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম লিমিটেড বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এও জানা গেছে এই বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বিলের পরিমাণ দেখে মাথায় হাত পড়ে পেমারামের।
রাজস্থানের ই-গভর্ন্যান্সের অন্তর্গত ই-মিত্রো কেন্দ্রে গিয়ে হাজির হন তিনি। সমস্ত ঘটনা খুলে বললে আধিকারিকরা বুঝতে পারেন কোথাও গলদ রয়ে গেছে। সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ জোশি বলেন, মিটারের রিডিং নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মী টাকার অঙ্কের জায়গায় ইউনিটের হিসেব লিখে ফেলায় এই বিপত্তি। যদিও তাঁর এই মন্তব্যেও গোঁজামিল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যাই হোক, অবশেষে, পুনরায় রিডিং নিয়ে সঠিক বিলটি তুলে দেওয়া হয়েছে পেমারামের হাতে।