অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দিতে পারবে না রাজ্য, করোনা রুখতে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দিতে পারবে না রাজ্য, করোনা রুখতে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আন্তঃরাজ্য মেডিকেল অক্সিজেন আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না।  এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে করোনা ভাইরাসের রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসায় অন্যতম এই অক্সিজেন।

মূলত করোনায় শ্বাসকষ্ট একটি বড় উপসর্গ ফলে রোগীর জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা এসময় বেশি থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্র ৩.৭ শতাংশ রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করে আন্তঃরাজ্য মেডিকেল অক্সিজেন আদান-প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে রাজ্যগুলি।  এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই ঘোষণা করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।

তাদের কাছে এই অভিযোগও রয়েছে যে সমস্ত রাজ্যে এই মেডিকেল অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে সেখানেই তা রেখে দেওয়ার প্রবণতা তৈরী হচ্ছে। শুধুমাত্র সেখানকার হাসপাতালগুলিতেই এই অক্সিজেন সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে লেখা চিঠিতে স্বাস্থ্যসচিব উল্লেখ করেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে মেডিকেল অক্সিজেন পর্যাপ্ত এবং যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া প্রাথমিক শর্ত।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রত্যেক করোনা রোগী যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পান সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংকটজনক করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন দেওয়ার গুরুত্ব আবারও তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মেডিকেল অক্সিজেন স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি জরুরী সামগ্রী। দেশের যে কোন জায়গায় মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের কোনরকম ঘাটতি বা ব্যাঘাত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের অন্যান্য জায়গায় প্রভাব ফেলতে পারে”।

এই শর্ত বজায় রাখতে আইন মেনে বেশ কিছু রাজ্য মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহ জারি রেখেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, অন্যান্য পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে মেডিকেল অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেশে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসার উন্নতি করবে। এই নীতি নেওয়ার ফলে করোনায় মৃত্যুর হার কমে ১.৬৭ শতাংশ হয়েছে বলেও মত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 5 =