নয়াদিল্লি: করোনা আবহে দীর্ঘ লকডাউনে বেহাল দেশের অর্থনীতি৷ ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিতে অক্সিজেন জোগাতে একাধিক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে লেগে যাবে আরও একটি বছর৷ অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ফলে আগামী কয়েক মাসে দেশের কর্ম সংস্থান তৈরি হওয়াটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের৷
আরও পড়ুন- আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন এ আর রহমান? নোটিস পাঠাল হাইকোর্ট
কেয়ার রেটিং-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেকটাই বাড়বে৷ ফলে কমবে শ্রমের চাহিদা৷ ২০২১ অর্থবর্ষে একাধিক সংগঠনে চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের উপর জোড় দেওয়া হবে৷ সেদিক থেকে দেখলে আইটি, ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে৷ কারণ করোনাভাইরাস জনিত লকডাউনের প্রভাব এই সেক্টরগুলির উপর তেমনভাবে পড়েনি৷
লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই দেশের কর্মসংস্থান ছিল উদ্বেগজনক৷ এর পর দফায় দফায় লকডাউনে আরও জোড়ে ধাক্কা খেয়েছে চাকরি ক্ষেত্রটি৷ একটি এজেন্সি থেকে প্রাপ্ত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪,১০২টি কোম্পানিতে ২০১৯ সালে যেখানে ১০.৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেয়েছিল, সেখানে ২০২০-তে বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ৮.৫ শতাংশ৷ ২০২১ অর্থবর্ষে তা আরও নিম্নমুখী হতে চলেছে বলেই অনুমান৷ বেতন বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ৪.৬ শতাংশ৷ অধিকাংশ সংস্থায় বেতন হ্রাস এবং চাকরি ছাঁটাই করা হয়েছে৷ সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও৷
আরও পড়ুন- অবশেষে খুলছে স্কুল-কলেজ, তার আগে জেনে নিন এই ৫টি জরুরি তথ্য
লকডাউনের ফলে ধাক্কা খেয়েছে হসপিটালিটি, রিয়েল এস্টেট, মিডিয়া এবং বিনোদন ক্ষেত্র৷ বেড়েছে কর্মী ছাঁটাই৷ যার প্রভাব পড়তে চলেছে চলতি অর্থবর্ষের বার্ষিক প্রতিবেদনে৷ জানা গিয়েছে, গত অগাস্ট মাস পর্যন্ত ২.১ কোটি মানুষ চাকরি খুইয়েছে৷ সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যেখানে ৮.৬ কোটি মানুষ চাকরিজীবী ছিলেন, সেখানে এখন চাকরিজীবীর সংখ্যা ৬.৫ কোটি৷ ২.১ কোটি মানুষের চাকরি হারানোর পরিসংখ্যাটা নেহাত কম নয়৷