বাড়িতে থাকা সবজি, নুড়ি পাথর কুড়িয়ে চলছে স্কুল, খুদেদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে NGO

বাড়িতে থাকা সবজি, নুড়ি পাথর কুড়িয়ে চলছে স্কুল, খুদেদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে NGO

d5c809dc6da209ee89f7f2c347e406ac

 

রাঁচি: করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সেই মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ বন্ধ হয়ে গিয়েছে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলিও৷ এই অবস্থায় পড়াশোনা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছিল খুদে পড়ুয়ারা৷ কিন্তু একটি এনজিও-র হাত ধরে ঝাড়খণ্ডের চারটি ব্লকের কচিকাঁচারা ফিরল লেখাপড়ার দুনিয়ায়৷   

আরও পড়ুন- আগামী ১ বছরে আরও কমবে কর্মসংস্থান, নিম্নমুখী বেতন! কীভাবে বাঁচবে জনতা?

 

শিশুদের অধিকারের জন্য কাজ করা গ্লোবাল এনজিও ‘সেভ দা চিলড্রেন’-এর রাজ্য শাখা প্রতিষ্ঠান দু’জন অংশীদার ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পশ্চিম সিংভূম এবং গুমলা জেলার দুটি ব্লকে শুরু করেছে প্রি-স্কুল অভিযান৷ সেভ দা চিলড্রেনের ঝাড়খণ্ড শাখার প্রধান মহাদেব হাঁসদা বলেন, ‘‘প্রি স্কুল শিক্ষাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি৷ প্যান্ডেমিকের মধ্যেও আমরা থেমে থাকিনি৷ সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে চলেছি৷’’
তিনি জানান, তাঁরা গুলমার জেলার ভার্নো ও সিসাই ব্লক এবং পশ্চিম সিংভূমের টন্টো এবং তাঁতনগর ব্লকে শুরু করেছেন এই প্রি-স্কুল অভিযান৷ গুল্মায় ‘লোহারডাঙ্গা গ্রাম স্বরাজ সংস্থান’ এবং পশ্চিম সিংভূমে ‘সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিহ্যাবিলিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েই এই শিক্ষাভিযানে নেমেছে সেভ দা চাইল্ড৷ ৪৭৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা৷ ৩ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের অক্ষর, রং, আকার শেখাচ্ছেন এনজিও কর্মীরা৷

1a2221ba319bfa97541f1f108b7a7a2e

 

অ্যাকাডেমিক সাপোর্ট ফেলো সুনন্দা মিশ্রা বলেন, ‘‘আমরা এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মায়েদের সঙ্গে কথা বলছি৷ কী ভাবে অক্ষর চেনাতে হবে এবং হাতের কাছে থাকে শাকসবজি, নুড়ি বা ডুমুর দিয়ে অঙ্ক শেখাতে হবে তা তাঁদের বোঝাচ্ছি৷ তাঁর কথায় মায়েরা যদি একবার বুঝে যায়, কী ভাবে শিশুদের শেখাতে হবে, তাহলে তাঁরাই নিজেদের সন্তানকে বোঝাতে পারবে৷ সাধারণ আলু, টমেটো, বিন, ঢেঁড়স এবং নুড়ি পাথর ব্যবহার করে রং, আকার-আকৃতি এবং কাউন্টিং শেখানো হচ্ছে৷ তাঁদের এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও৷ 

আরও পড়ুন- অবশেষে খুলছে স্কুল-কলেজ, তার আগে জেনে নিন এই ৫টি জরুরি তথ্য

 

মমতা বারোয়ার নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘তাঁদের শেখানোর পদ্ধতি খুবই সহজ এবং আকর্ষনীয়৷ এখন আমি নিজেই আমার সন্তানদের পড়াতে পাড়ি৷’’ গ্রামের এই মানুষগুলোর জন্য আগামী দিনেও একইভাবে এগিয়ে যেতে চান হাঁসদা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *