অবশেষে অরুণাচলের অপহৃত ৫ তরুণকে ভারতের হাতে তুলে দিল চিন

অবশেষে অরুণাচলের অপহৃত ৫ তরুণকে ভারতের হাতে তুলে দিল চিন

 

ইটানগর:  চলতি মাসের শুরুতেই অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন পাঁচ তরুণ৷ শনিবার সকালে তাঁদের ভারতের হাতে তুলে দিল চিন৷ নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১০ দিন পর তাঁদের ভারতে প্রত্যার্পণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ এদিন সকালে চিনের ভূখণ্ডেই ওই পাঁচ তরুণকে হস্তান্তর করে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)৷ বিকেলে অরুণাচলের আনজ জেলার কিবিথু সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন- দেশকে রসাতলে পাঠিয়ে মোদী বলছেন ‘সবকিছু চাঙ্গা’, তুলোধোনা রাহুলের

 

ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড ১৯ প্রোটোকল মেনে ওই পাঁচ তরুণ আপাতত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন৷ এর পর তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে৷’’ পাঁচ গ্রামবাসীর প্রত্যাবর্তণের পরই টুইট করেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম খান্ডু৷ তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ তরুণকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমি অত্যন্ত আনন্দিত৷ সরকার ও সেনাকে ধন্যবাদ জানাই৷’’

এই পাঁচ যুবকের নাম হল সিংকাম তচ, ডংটু এবিয়া, গারু দিরি, প্রদাদ রিংলিং এবং টানু বাকের৷ শুক্রবার কেন্দ্রীয় ক্রিড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘‘ পিএলএ জানিয়েছে অরুণাচলের পাঁচ যুবক তাদের জিম্মায় রয়েছে৷ শনিবার ওই পাঁচ গ্রামবাসীকে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেবে তারা৷ নির্ধারিত জায়গায় যে কোনও সময় এই হ্যান্ড ওভার হতে পারে৷’’ 

১ সেপ্টেম্বর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই পাঁচ তরুণ৷ সেনার তরফে তাঁদের শিকারি বলে উল্লেখ করা হলেও তাঁদের পরিবার ও স্থানীয় মানুষের দাবি, ওই তরুণরা সকলেই কুলির কাজ করে৷  জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় মানুষকে সেনা এবং ইন্দো-তিব্বতি সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) অনেক সময়ই ‘পোর্টার’ বা কুলি হিসাবে কাজে নেয়। ম্যাকমোহল লাইন বরাবর অবস্থিত বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে কুলির কাজ করেন তাঁরা৷ সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আরও উচ্চতায় কস্তুরী হরিণের খোঁজে কিম্বা ভেষজ সংগ্রহ করতে যান। দীর্ঘদিন ধরে ‘গুম্বা’ নামে একটি ভেষজ ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। সেটি বাজারে বেশ চড়া দামে বিক্রিও হয়। মনে করা হচ্ছে, ওই ৫ তরুণও সে ভাবেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে গিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন- করোনা টিকা না আসা পর্যন্ত কী করতে হবে? দেশবাসীকে মন্ত্র দিলেন মোদী

 

এই তরুণদের প্রত্যাবর্তনের আগে সেনার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারতীয় সেনার অবিরাম চেষ্টায় আপার সুবনসিরির ৫ শিকারি, যারা ২ সেপ্টেম্বর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে চিন সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল তাঁদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ ৮ তারিখ চিন স্বীকার করে নেয় যে পাঁচ ভারতীয় তরুণ তাদের হেফাজতেই আছে৷ দামাইয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় পিএলএ তাদের ভারতের হাতে তুলে দেবে।’’ 
লাদাখ সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই অরুণাচল থেকে ওই পাঁচ তরুণ নিখোঁজ হন৷ যদিও চিন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে৷ জানায়, তারা কাউকে ধরেনি৷ পরে পিএলএ মেনে নেয়, সীমান্ত পেরিয়ে চিনে ঢুকে পরা পাঁচ ভারতীয়কে তারাই আটক করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =