দুমুখো নীতি, ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের জন্য ভিন্ন নিয়ম হোয়াটসঅ্যাপের

নয়াদিল্লি: ভারতীয়দের জন্য কিন্তু নিরাপদ নয় হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত তথ্য একেবারেই সুরক্ষিত নয়। অথচ ইউরোপীয়দের ক্ষেত্রে এমনটা নয় মোটেই। তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা গোটাটাই উল্টো। ঘটনাটি সামনে আসার পর হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
 

নয়াদিল্লি: ভারতীয়দের জন্য কিন্তু নিরাপদ নয় হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত তথ্য একেবারেই সুরক্ষিত নয়। অথচ ইউরোপীয়দের ক্ষেত্রে এমনটা নয় মোটেই। তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা গোটাটাই উল্টো। ঘটনাটি সামনে আসার পর হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে সুরক্ষিত এমনটাই এতদিন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তারপর ভারত ও ইউরোপীয়দের জন্য দুটি ভিন্ন নীতির কথা শোনা যায়। তবে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ইউরোপে তাদের পলিসির বিশেষ পরিবর্তন করছে না। অন্যদিকে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য ফেসবুকের কাছেও চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। কিন্তু ইউরোপীয়দের ক্ষেত্রে তা হবে না। তার অর্থনৈতিক লেনদেন, অনলাইন কেনাকাটা ও লোকেশন সার্ভিসের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুককে পাঠাবে না।

কিন্তু কোন এই দু’মুখো নীতি নিল সংস্থা? জানা গিয়েছে ইউরোপের ‘দ্য জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন’ বা জিডিপিআর হল মূল কারণ। এই আইন প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে জোর দেয়। এই আইন ভাঙার জন্য ২০১৭ সালে ইউরোপিয়ান কমিশন ফেসবুককে জরিমানা ধার্য করেছিল। ফেসবুকের বিরুদ্ধে ১১০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ধার্য করেছিল ইউরোপিয়ান কমিশন। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর যে ফেসবুকের কাছেও চলে যাবে এ ব্যাপারে তারা আগে থেকে জানায়নি। তাই এই জরিমানা।

এই ঘটনার পর ইউরোপে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ যথেষ্ট সতর্ক। কিন্তু ভারতে সাইবার আইনে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও কোনও জোরদার আইন নেই। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে ‘পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল’ বা পিডিপি বিল পার্লামেন্টে প্রস্তাব করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটি বা জেপিসি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তারা তা ফেসবুককে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যদিও ভারতীয়দের তথ্য সুরক্ষিত থাকা একেবারেই সম্ভব নয় এমন মনে করছেন না আইনজীবীরা। তাঁদের মতে তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ২০০০-এর ৪৩ এ ধারায় ব্যক্তিগত তথ্যের সংরক্ষণ এবং বিনা অনুমতিতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রয়োগের বিষয় বলা রয়েছে। এক্ষেত্রে কী কী শাস্তি হতে পারে, তাও জানানো হয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে ব্যবহারকারীকে। তাকে প্রমাণ করতে হবে, তাঁর নিজের তথ্য সুরক্ষিত নয়। তাহলে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − ten =