নয়াদিল্লি : দিল্লির দাঙ্গায় তদন্তের প্রথম চার্জশিটে ১৫ জনের তালিকায় ১৩ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তারা মুসলমান। এই ১৫ জন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী এবং প্রতিবাদকারী। আপাতদৃষ্টিতে যা মনে হচ্ছে, সিএএ এবং এনআরসি-এর বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ সংগঠিত করেছিলেন তারাই দাঙ্গা বাধিয়েছেন বলে মনে করেছে দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ করা যেতে পারে, করোনা কালের ঠিক আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই দাঙ্গায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নামে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
শুধু সীতারামই নন, স্বরাজ্য অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব, অর্থনীতিবিদ জয়তি ঘোষ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আন্দোলনকারী অপূর্বনন্দ, তথ্যচিত্র প্রস্তুতকারক রাহুল রায়ের নাম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উল্লেখ করে এই ব্যক্তিদের দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে দেখান হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হতে পারে। দিল্লির কারকাডুমা আদালতে ১৭৫০০ পাতার চার্জেশিট জমা পড়েছে।
অভিযুক্তদের তালিকায় আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হুসেইনির নাম রয়েছে। তবে প্রথম চার্জশিটে উমর খালিদ বা সার্জিল ইমামের নাম নেই। তবে সঙ্গে যাচ্ছে যে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এদের নাম থাকতে পারে। পুলিশের সাফ বক্তব্য, সিএএ বিরোধী ওই আন্দোলন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়নি। ওই আন্দোলন থেকেই দাঙ্গা বাধে। শাহীনবাগ এবং জাফরবাদে সিএএ বিরোধী অবস্থানকে দাঙ্গার পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছে পুলিশ। তবে, সেই সময় বিতর্কিত মন্তব্য করা (গোলি মারো শালো কো …) বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, উত্তেজক মন্তব্বকারী বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র’র বিরুদ্ধে পুলিশের এখনও কোনও অভিযোগ নেই। ইতিমধ্যেই ৯ জন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তদন্ত ত্রুটিপূর্ণ।