নয়াদিল্লি: দেশের মহিলা কৃষকদের মান উন্নত করতে এবং কৃষি উৎপাদন ক্ষেত্রকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে এল ওয়ালমার্ট। কৃষকরা যাতে সঠিক দামে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়ালমার্ট। কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকার দুটি নতুন আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। সংস্থা ‘ট্যানেজার’ ও ‘প্রদান’ নামে দুটি এনজিও-র সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি করেছে।
এই দুটি এনজিও-র মাধ্যমেই কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে চায় সংস্থা। অনুদান প্রকল্প দুটির মূল লক্ষ্য হল, এক, অন্যান্য কৃষি উৎপাদনকারী সংস্থার (এফপিও) মাধ্যমে মহিলা কৃষকদের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি করা। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ট্যানেজার অন্ধ্রপ্রদেশে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কৃষিপণ্য উৎপাদন করে কৃষকদের সহায়তা করতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা অনুদান পাবে। দুই, দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রদান’ ঝাড়খন্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মহিলা কৃষকদের বাজার ধরতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে প্রায় ১৩ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশন।
জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলার আদিবাসী মহিলা কৃষকদের প্রায় ১৪ হাজার পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশন ভারতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এর ফলে ১.৪ লক্ষেরও বেশি কৃষকেরা উপকৃত হবেন, যাদের মধ্যে ৮০ হাজার জন কৃষক হলেন মহিলা।
ওয়ালমার্ট ২০১৮ সালে ভারতে কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ৫ বছরে ১৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিল। এ প্রসঙ্গে ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ক্যাথলিন ম্যাকলঘলিন জানিয়েছেন, বর্তয়াম্ন করোনা মহামারী ভারতের কৃষকদের বিরাট সমস্যার মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে মহিলা কৃষকদের আয় দ্রুত কমে গিয়েছে। ঠিক সেই কারণেই চাষীদের আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছে সংস্থা।” ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশ কৃষিকাজের ওপরেই অনেকটা নির্ভর করে থাকে। তাই সেক্ষেত্রে চাষীদের ভবিষ্যতকে প্রাধান্য দেওয়া একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করে ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশন।