ইসলামাবাদ: জঙ্গি ক্রিয়াকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’য় পাঠিয়েছিল ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)৷ বলা হয়, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থপাচার – এই দুই বিষয় আটকাতে ব্যর্থ পাকিস্তান৷ কিন্তু ধূসর তালিকা থেকে বার হওয়ার জন্য মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে ইমরান খানের দেশ৷ আর সে জন্যই চিন, মালয়েশিয়া এবং তুরস্কের সাহায্য চাইছে ইসলামাবাদ৷
আরও পড়ুন- করোনার বিরুদ্ধে অনাক্রমতা গড়ে তুলতে পারে ডেঙ্গু! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এফএটিএফ-এর ওয়ার্কিং গ্রুপের পূর্ণাঙ্গ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৮ থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে৷ এর আগে সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তানের অর্থায়ন এবং অর্থপাচারের বিষয়টি ভার্চুয়াল বৈঠকে খতিয়ে দেখে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি)৷ চলতি মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ হয় ওই বৈঠক৷ ওই বৈঠকে প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানকে সমর্থন করে চিন৷ অথচ ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য এফএটিএফ পাকিস্তানকে যে ২৭ দফা পদক্ষেপ নিতে বলেছিল, তা এখনও পূরণ করতে পারেনি ইসলামাবাদ৷ এখনও বাকি রয়েছে ১৩টি পদক্ষেপ৷ সম্প্রতি দাউদ ইব্রাহিম, হাফিজ সইদ, মাসুদ আজহার-সহ মোট ৮৮ জন সন্ত্রাসবাদী দল ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা কতটা কী করল, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে৷ অক্টোবর মাসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফএটিএফ।
আরও পড়ুন- ‘বসে’র মতো ক্লাস নিচ্ছেন নবতিপর অধ্যাপক, আবেগে ভাসল নেটিজেনরা
এপিজি বৈঠকের একদিন পরই পাক অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন পাকিস্তানে চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং৷ সেই সময় তিনি বলেন, ‘‘এফএটিএফ-এর অক্টোবরের বৈঠকে পাকিস্তান ভালো ফল করবে বলেই আমি আশাবাদী৷’’ এফএটিএফ-এর প্লেনারি বৈঠকে চিন, মালয়েশিয়া এবং তুরস্ক পাকিস্তানকে সমর্থন করবে বলে আশাবাদী ইসলামাবাদও৷ মালেশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন তিক্ততার৷ সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরক মহম্মদের সময় থেকেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে৷ তাই পাকিস্তান এখন মালয়েশিয়ার সমর্থন খুঁজছে৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এফএটিএফ-এর বৈঠকের আগে প্রগ্রেস রিপোর্ট জমা দেবে পাকিস্তান৷ এদিকে, পুলওয়ামার ঘটনায় পাকিস্তান থেকে কীভাবে অর্থায়ন করা হয়েছিল, তার যাবতীয় প্রমাণ এফএটিএফ-এর হাতে তুলে দিতে চলেছে ভারত৷ আর এফএটিএফ যদি ইমরান খানের দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করে, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও অনেক বিধি নিষেধ চাপবে পাকিস্তানের উপরে।