নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৫৯,০০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার চুক্তি করে ভারত সরকার। ইতিমধ্যেই ভারতে ৫টি রাফাল বিমান এসে পৌঁছেছে, যেগুলি বর্তমানে লাদাখে টহলদারিও করছে। আগেই রাফাল চুক্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে বঞ্চিত করে অনিল অম্বানির সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে পেশ করা রিপোর্টে সিএজি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ডাস্যু অ্যাভিয়েশন প্রতিশ্রুতি মতো প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়নি৷
ডাস্যু অ্যাভিয়েশন এবং এমবিডিএ-র সঙ্গে রাফাল চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল ফরাসি সংস্থা চুক্তি-মূল্যের ৫০ শতাংশ মূল্যের প্রকল্প বা কাজের বরাত ভারতের যেকোনও একটি সংস্থার হাতে দেবে। সেক্ষেত্রে ওই সংস্থাকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে ফরাসি সংস্থা। সেই সূত্রেই ডাস্যু অনিল অম্বানির সংস্থা রিলায়্যান্স ডিফেন্সের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। এর পিছনে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
অন্যদিকে, বুধবার সংসদে পেশ করা রিপোর্টে সিএজি জানিয়েছে, ডাস্যু ও এমবিডিএ প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে, ডিআরডিও’কে উন্নত মানের সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করা হবে৷ সেই মতো ডিআরডিও হালকা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য ‘কাবেরী’ নামক ইঞ্জিন তৈরি করতে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রযুক্তিগত সাহায্য দেওয়া হয়নি, কবে দেওয়া হবে তাও স্থির হয়নি। পাশাপাশি সিএজি’র দাবি, শুধু রাফাল নয় বহু ক্ষেত্রেই বিদেশি সংস্থা দেশীয় সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে বিষয়ে পড়ে আর এগিয়ে আসে না। সেক্ষেত্রে দেশীয় সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এই ধরনের নীতি তৈরি হলেও তাতে কোনও লাভ হয় না। কিন্তু রাফাল চুক্তি অনুযায়ী সাত বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য করার কথা ফরাসি সংস্থার। সেক্ষেত্রে প্রথম তিন বছরেই যে তা করতে হবে তেমন কোনও বাধ্যতামূলকতা নেই।