নয়াদিল্লি: নিউনর্মালে স্বভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় দেশ। কিন্তু করোনা আতঙ্কে প্রায় ঘরবন্দী দশা এখনও কাটেনি। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে কোনোমতে ঘরে ফিরতে পারলেই যেন রক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে তারা ভ্রমণ করতে চাইছেন কিন্তু কোনো উদ্দেশ্য নেই বা কোথাও গিয়ে থাকার পরিকল্পনা নেই, তাদের জন্য একটি অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া। করোনা আবহেই শুরু হতে চলেছে তাদের ‘ফ্লাইটস টু নোহয়ার’। ‘নোহয়ার’ অর্থাৎ কোথাও না। নাম অনুসারে, এই বিমানগুলি সত্যই কোথাও যাচ্ছে না। বাস্তবে এইজাতীয় বিমানে চড়ে কোথাও যেতে পারবেন না যাত্রীরা। যে বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়বেন সেখানেই ফিরিয়ে আনা হবে যাত্রীদের। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এর উদ্দেশ্য কী? এটি মূলত একটি মন ভালো করা প্রমোদ ভ্রমণ।
এয়ার ইন্ডিয়ার এই রাইডের উদ্দেশ্য বিমানে চড়িয়ে আকাশ থেকেই যাত্রীদের বিশেষ কিছু দর্শনীয় স্থানের মনোরম দৃশ্য উপহার দেওয়া। যদিও এই পরিকল্পনা ভারতীয়দের জন্য অভিনব। তবে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ান বিমান সংস্থা কোয়ান্টাস এয়ারওয়েজ সাত ঘণ্টার জন্য এই ধরনের প্রমোদ ভ্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ব্রুনির বিমান সংস্থা রয়্যাল ব্রুনিও এই ধরণের পরিষেবা দিচ্ছে। জানা গেছে, কোয়ান্টাস এয়ারওয়েজের এই ফ্লাইটে চড়ে দীর্ঘ ৭ ঘন্টার ভ্রমণ পথে আকাশ থেকেই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফটি এবং সিডনি হারবার দেখার জন্য ফ্লাইটের টিকিটগুলি ১০ মিনিটের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। আকাশ থেকেই ভারতের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের মনোরম দৃশ্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে এই বিমান পরিষেবার জন্য এয়ার ইন্ডিয়া বেছে নিয়েছে বোয়িং ৭৮৭ জাম্বো জেট। উড়ানগুলি ন্যূনতম সীমাবদ্ধ উচ্চতায় উড়বে। এটি বিমান যাত্রায় এমন একটি সুরক্ষিত স্তর যেখানে বিমান ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কম।
তবে দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে এই সবেমাত্র ঘরোয়া উড়ান শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান বলতে সরকারি উদ্যোগে বন্দে ভারত মিশনের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে কিছু বিমান চলছে। এমনকি সংক্রমণ এড়াতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে এদেশের মানুষ এয়ার ইন্ডিয়ার এই অভিনব ভ্রমণ পরিকল্পনার প্রতি কতটা উৎসাহ দেখাবে সেটাই বড় প্রশ্ন।