রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা মোদীর, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে শোনালেন আশার বাণী

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় শনিবার উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিশ্বের দরবারে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করার পাশাপাশি করোনা আবহে ও তার পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও বক্তব্য রাখেন। নিজের ভাষণে তিনি জোর দেন 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর উপর।

 

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় শনিবার উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিশ্বের দরবারে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করার পাশাপাশি করোনা আবহে ও তার পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও বক্তব্য রাখেন। নিজের ভাষণে তিনি জোর দেন ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর উপর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারতই প্রথম ২ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ নন ভায়োলেন্স ও ২১ জুন ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ যোগা শুরু করে। করোনার সময়ও ভারতের ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি ১৫০টি দেশকে জরুরি পরিষেবায় ওষুধ পাঠিয়েছে। সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিং উৎপাদকক দেশে হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রোডাকশন ও বিতরণকারী দেশ হিসেবে মানবতার পরিচয় দিয়েছে ভারত। এই করোনা সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও তৈরি হচ্ছে ভারত। ভারতের ভ্যাকসিন তৈরি ও বিতরণ ভবিষ্যতে বিশ্বের কাজে আসবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিনের ডেলিভারির জন্য চেন ও কোল্ড স্টোরেজের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও এদিন বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আরও বলেন অনেক দেশ ভারতের উপর বিশ্বাস রেখেছে। এরর জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোদী। বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় লোকতন্ত্র হওয়ার প্রতিষ্ঠা ও এর অনুভবকে ভারত বিশ্বের ভালর জন্য কাজে লাগাবে। জনকল্যাণ থেকে জগৎকল্যাণের কথা বলেন তিনি। বলেন, ভারত সবসময় শান্তি , সুরক্ষা ও সম্বৃদ্ধির জন্য আওয়াজ তুলবে। সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ হাতিয়ার, ড্রাগস, আর্থিক তছরূপের বিরুদ্ধে সরব হবে ভারত। বিশ্ব কল্যাণের মার্গকে মজবুত করবে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানবতা ও মানুষের মূল্যবোধের সপক্ষে সওয়াল করেন তিনি।

এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গত কয়েকবছরে ভারতের জীবনে বদল আনার কথাও বলেন। জানান, গত ৪-৫ বছরে ৪০০ মিলয়েনর বেশি লোককে ব্যাংকিং সিস্টেমের সঙ্গে জোড়া হয়েছে। বিনামুল্যে স্বাস্থ্য সহ একাধিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ডিজিটাল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম অগ্রণী দেশ। ২০২৫ এর মধ্যে দেশ থেকে যক্ষা মুক্ত করা হবে বলেও জানা তিনি। এর জন্য শুরু হয়েছে অভিযান। এছাড়া এদিন ১৫০ মিলিয়ন ঘরে জল পৌঁছানোর কথাও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, ৬ লক্ষ গ্রামে অপিকাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ভারতে। দেশের মহিলারা মাইক্রো ফাইনান্সিংয়ের লাভ পাচ্ছে। ২৬ সপ্তাহের ম্যাটারনিটি লিভ পাচ্ছে। বস্তুত বক্তব্যের একটি অংশে ভারতের উন্নয়ণের কথা বলার আড়ালে সরকারের গুণগান করেন মোদী। এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − five =