গণধর্ষণ-কাণ্ডে যোগীর প্রশাসনকে সমন পাঠাল হাই কোর্ট, ফের মুখ পোড়াল সরকার

উত্তরপ্রদেশ সরকার ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার সমন পাঠিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার হাথরাস গণধর্ষণ মামলার যে বিষয়টি ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল, সেই সম্পর্কে লিখিত বিবৃতি গ্রহণ করা হয় বৃহস্পতিবার। এরপর কর্মকর্তাদের ১২ অক্টোবরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

লখনউ: উত্তরপ্রদেশ সরকার ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার সমন পাঠিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার হাথরাস গণধর্ষণ মামলার যে বিষয়টি ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল, সেই সম্পর্কে লিখিত বিবৃতি গ্রহণ করা হয় বৃহস্পতিবার। এরপর কর্মকর্তাদের ১২ অক্টোবরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

সেদিন হাথরাসে গণধর্ষিতা ২০ বছর বয়সী মহিলার পরিবারের সদস্যদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিচারকরা যাতে মঙ্গলবার রাত ২টোর সময় শ্মশানের দেহ সৎকারের বিষয়ে সত্যতা নির্ধারণ করতে পারে, তাই এই তলব। মঙ্গলবারের মাঝরাতে পুলিশের এই দেহ সৎকারের ভিডিও অবাক করেছে গোটা দেশকে। এটি সামনে আসার পরই পদক্ষেপ করে আদালত। নোটিশে আদালত বলেছে যে বিষয়টি “জনগণের গুরুত্ব ও জনস্বার্থের বিষয়। কারণ এতে রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের দ্বারা উচ্চপদস্থতার অভিযোগ জড়িত। যার ফলে কেবল নিহত ব্যক্তিরই নয়। তার পরিবারেরও মৌলিক মানসিক ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রাক্কালে দুঃসংবাদ, করোনায় আক্রান্ত ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা হিকস

আদালত বলেছে, ওই মহিলার সঙ্গে চরম বর্বর আচরণ করা হয়েছিল এবং তারপরে যা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যদি তা সত্য হয় তবে তার পরিবারের দুর্দশা স্থির করা এবং তাদের ক্ষতস্থানে নুন মাখানোর সমতুল্য। তফসিলি জাতিদের সদস্য এই মহিলা দুই সপ্তাহ ধরে নিজের জীবনের লড়াইয়ের পরে দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর দেহের একাধিক হাড় ভাঙা অবস্থায় ছিল। শরীর ছিল নগ্ন। ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে ১৪ সেপ্টেম্বর তথাকথিত উচ্চ বর্ণের চারজন যুবক ধর্ষণ করে ও একটি মাঠে তাঁকে আধমরা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যুর পর পুলিশ তাঁর পরিবারকে শেষবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এমনকী শেষকৃত্যেরও অনুমতি দেয়নি। এদিকে রাত ২ টার দিকে ওই মহিলার মরদেহ নিয়ে শ্মশানে সৎকারে করে পুলিশ। ওই মহিলার পরিবারকেৃ বাড়ির ভিতরে আটকে রাখা হয়েছিল এবং শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। দিল্লি হাসপাতালের বাইরে এবং পথে পুলিশকে থামানোর চেষ্টায় মহিলার পরিবার মৃতদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের সামনে ক্ষোভে ও দুঃখে নিজেকে আছড়ে ফেলছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেগুলোকে পাত্তা না দিয়ে দেহ নিয়ে চলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − sixteen =