ছিঃ! মিডিয়ার টুটি চেপে লজ্জার মাথা খেল যোগীর পুলিশ! গণধর্ষণ তদন্তে প্রহসন?

ছিঃ! মিডিয়ার টুটি চেপে লজ্জার মাথা খেল যোগীর পুলিশ! গণধর্ষণ তদন্তে প্রহসন?

নয়াদিল্লি: হাথরাসকাণ্ডে উত্তাল দেশ৷ দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মধ্যরাতে জোড় করে তাঁর দেহ সৎকারকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ এরই মধ্যে হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডের খবর করতে গিয়ে পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার হলেন এবিপি নিউজের সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিক৷ তাঁদের হেফাজতে নিয়ে ফের বিতর্কে যোগী রাজ্যের পুলিশ৷ 

আরও পড়ুন- কেন তাড়াহুড়ো করে সৎকার? যোগী পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

এবিপি নিউজ রিপোর্টার প্রতিমা মিশ্র এবং ক্যামেরাম্যান মনোজ অধিকারী এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতেই তাঁদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়৷ এই ঘটনার  রিপোর্ট না করার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের৷ প্রতিমা এবং মনোজ উভয়ের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে খবর৷ কিন্তু কেন তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে কোনও সরকারি অর্ডার দেখাতে পারেনি পুলিশ৷  

 
এদিন এবিপি নিউজের প্রতিনিধি ছাড়াও হাথরাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদেরও৷ তাঁদেরও পথ আটকায় উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷ যোগী পুলিশের হাতে রীতিমতো হেনস্থা হতে হয় তাঁদের৷ নির্যাতিতার বাড়ির দেড় কিলোমিটার দূরেই আটকে দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের৷ ওই দলে ছিলেন তিন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, ড. কাকলি  ঘোষদস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর।

আরও পড়ুন- ডাইনি সন্দেহে দু’জনকে খুন, ৯ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ

গতকাল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়ড়াও দলিত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন৷ তাঁরা হাথরাস পৌঁছনোর আগেই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়৷ গ্রেটার নয়ডার পরী চকের কাছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কনভয় আটকে দেয় যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। তারপর তাঁরা হেঁটে ১৪২ কিলোমিটার দূরে হাথরাসের উদ্দেশে রওনা দেন।  এর পর যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ফের তাঁদের আটকানো হয়৷ পুলিশের সঙ্গে বচসার পরই তাঁরা গ্রেফতার হন৷ এমনকী রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতেও ফেলে দেওয়া হয়৷ 

হাথরাসে বছর ২০-র দলিত তরুণীর উপর অত্যাচার চালানো চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ওই ঘটনার পরই দলিত তরুণীকে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ১৪ দিন পর সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এর পরই নির্যাতিতার পরিবারকে অন্ধকারে রেখে মধ্যরাতে দাহ করা হয় তাঁর দেহ৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *