ভোটে না জিতেও এঁরা আজ মুখ্যমন্ত্রী! কীভাবে সম্ভব জানেন?

ভোটে না জিতেও এঁরা আজ মুখ্যমন্ত্রী! কীভাবে সম্ভব জানেন?

দেবময় ঘোষ:  নীতীশ কুমার, যোগী আদিত্যনাথ এবং উদ্ধব ঠাকরে, ভারতের তিনটি জনবহুল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বিষয় মিল রয়েছে। তারা সকলেই ওই রাজ্যগুলির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। তিন জনেই যথাক্রমে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের  বিধান পরিষদের সদস্য। নীতীশ, যোগী এবং উদ্ধব – কেউই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য একটি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এদের মধ্যে নীতীশ কুমারই একমাত্র যিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তবে তাও প্রায় ৩৫ বছর আগে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য ওই রাজ্যেরই গোরখপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচবার জিতে সংসদে গিয়েছেন। এমন নয় যে তিনি সংসদীয় রাজনীতিতে নতুন। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার যোগী গোরখপুর থেকে নির্বাচিত হন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কখনও লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ঠাকরে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথও তাই।

বিপরীতে, নীতীশ কুমার আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২০ সালে টানা চতুর্থ নির্বাচনে জয় পাওয়ার উদ্দেশ্যে নামছেন। সাদা কথায় বলতে গেলে নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাঁচবার শপথ নিয়েছেন – ২০০০, ২০০৫, ২০১০ এবং দু’বার ২০১৫ সালে।

নীতিশ কুমার ১৯৭৭ সালে প্রথমবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। হারনাট থেকে নির্বাচনে হেরে যান তিনি। ১৯৮৫ সালে তিনি বিহারের প্রথমবারের মতো একটি বিধানসভা নির্বাচন জিতেছিলেন এবং ওই বছরই বিধানসভা নির্বাচনও তিনি শেষবারের মতো লড়েছিলেন।

পরবর্তীকালে, নীতীশ কুমার লোকসভায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ছয়বার লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন। তাঁর সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচন ২০০৪ সালে হয়েছিল, যখন তিনি নালন্দা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তবে বাড় আসন থেকে হেরেছিলেন। ২০০৫ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। নয় মাসের সংক্ষিপ্ত সময় বাদ দিলে নভেম্বর ২০০৫ সাল থেকে তিনিই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে বিজেপির জয়ের পরে নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীরই রাজ্য আইনসভার সদস্য হতে গেলে যেকোন কক্ষের সদস্য হতেই হবে। বিহার হল ছয়টি রাজ্যের মধ্যে একটি – যেখানে রাজ্য আইনসভায় উচ্চ সভায় একটি আইন পরিষদ রয়েছে। অন্যগুলি হল, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *