শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় আরও পিছল ভারতের স্থান, বলছে রিপোর্ট

শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় আরও পিছল ভারতের স্থান, বলছে রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় মধ্যে পড়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ কাজ হারিয়ে মাইলের পর মাইল পথ পায়ে হেঁটে নিজেদের গ্রামে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের৷ পথের ধকলে মৃত্যু হয়েছিল বহু শ্রমিকের৷ যদিও সেই পরিসংখ্যান দিতে পারেনি সরকার৷ কিন্তু শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁদের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল সারা দেশ৷ কেন্দ্রের ব্যর্থতার দাবি তুলেছিল বিরোধিরা৷ শ্রমিক অধিকার রক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল অক্সফামের কমিটমেন্ট অফ রিডিউসিং ইনইকুয়ালিটি ইনডেক্স (সিআরআইআই) এর রিপোর্ট৷ তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় ১৫৮টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫১৷ 

আরও পড়ুন- ইডলিকে ‘বোরিং’ বলে নেটিজেনদের রোষের মুখে ব্রিটিশ প্রফেসর, টুইটারে একহাত নিলেন শশী থারুর

এর আগে ১৫৮টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ১৪১ নম্বরে৷ সেখান থেকে পিছয়ে ১৫১ নম্বরে নেমে এসেছে দেশ৷ আমাদের দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পুরুষ শ্রমিক রয়েছে উত্তর প্রদেশে, ৮৬.৯ শতাংশ৷ সবচেয়ে বেশি মহিলা শ্রমিক রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে, ৭৩.৬ শতাংশ৷ দিল্লিতে অংসগঠিত ক্ষেত্রের মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ৩১.৮ শতাংশ এবং পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ৬৪.৮ শতাংশ৷ করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মধ্যে যে অসাম্য দেখা দিয়েছে, অবিলম্বে তা সমাধান করার সুপারিশ করা হয়েছে অক্সফামের রিপোর্টে৷ শ্রমিক অধিকার রক্ষায় ভারতের স্থান পিছলেও সামগ্রিক দিক থেকে ১২১ নম্বর স্থানে রয়েছে দেশ৷ সিআরআইআই ইনডেক্স অনুযায়ী সরকারি নীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কর ব্যবস্থা এবং শ্রমিক অধিকার রক্ষায় সরকারি নীতির প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারত রয়েছে ১২১ নম্বরে৷  

আরও পড়ুন- নবরাত্রিতে হবে না গরবা, করোনা এড়াতে উৎসবের মরশুমে একাধিক নির্দেশিকা গুজরাত সরকারের

সারা বিশ্বের ১৫৮টি দেশের উপর তাদের গ্লোবাল রিপোর্ট তৈরি করে সিআরআইআই৷ অসাম্য দূরীকরণের উপর এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়ে থাকে৷ তাদের তালিকায় রয়েছে ভারতও৷ সিআরআইআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের বাজেট চতুর্থ সর্বনিম্ন ছিল৷ অথচ যেখানে মাত্র অর্ধেক জনসংখ্যার কাছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ রয়েছে দেশে৷ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশের বেশি ব্যয় জনগণই করে থাকে৷ অন্যদিকে, ভারতে শিক্ষাক্ষেত্রে মাথপিছু সবচেয়ে কম ব্যয় হয়েছে তেলেঙ্গানায়, মাত্র ২,৫৪৮ টাকা৷ সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ৷ মাথা পিছু খরচ করেছে ৬,৩৯৮ টাকা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 11 =