নয়াদিল্লি: কবে বের হবে করোনার ভ্যাকসিন? আর কতদিন বিধিনিষেধ মেনে থাকতে হবে? তাই ভ্যাকসিন বেরোবার প্রতীক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ৷ ২০২১ একুশ সালের গোড়ার দিকেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন৷ মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন৷ একটি বৈঠক চলাকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, আমরা আশা করছি যে আগামী বছরের শুরুর দিকে আমাদের একাধিক উত্স থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আমাদের বিশেষজ্ঞ দলগুলি কীভাবে দেশে এই ভ্যাকসিনের বিতরণ করা হবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা ও কৌশল তৈরি করছে৷ মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাওয়া তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনার কবলে পড়েছেন মাত্র ৫৫ হাজার মানুষ৷
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনিম্ন৷ একইসঙ্গে মৃতের সংখ্যাও অনেকটা কমেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী৷ গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৭০৬ জনের৷ যার ফলে করোনার জেরে দেশের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮৫৬ জন। তবে একইসঙ্গে স্বস্তির খবর এই যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা যুদ্ধ জয় করেছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ আসতে চলেছে সরকারের হাতে৷ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থাগুলিকে সবরকম ভাবে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দেশের সকলে যাতে ভ্যাকসিন পায় সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস ঘেবরেসাস জানিয়েছিলেন ভ্যাকসিন নিয়ে খুশির খবর। তিনি জানান যে বছরের শেষেই আসতে পারে টিকা। তবে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে যাতে টিকার সমবণ্টন হয়, তার জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন হু-এর প্রধান। আগেই এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছিলেন, যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই দেশের হাতে আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন৷ তবে পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন প্রাথমিক স্তরে ভ্যাকসিনের ডোজ সকলে পাবে কিনা তা নিয়ে ষথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷